জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লিতে এক সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
বৃহস্পতিবার (০১ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অমিত শাহ বলেন, যে-ই এই কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে থাকে, তারা কেউ রেহাই পাবে না। প্রত্যেককে খুঁজে বের করে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ২৬ জন মানুষকে হত্যা করে কেউ যদি ভাবে তারা জিতে গেছে, তবে তা তাদের সবচেয়ে বড় ভুল। প্রত্যেক সন্ত্রাসীর হিসেব নেওয়া হবে। এই মোদি সরকার কাউকে ছাড় দেবে না। আমাদের প্রতিজ্ঞা—দেশের প্রতিটি ইঞ্চি থেকে সন্ত্রাসবাদ উৎখাত করা হবে।
এদিকে পাকিস্তানি সম্প্রচারমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের সঙ্গে চলমান সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই বড় পরিসরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক এই মহড়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈনিকরা তাদের পেশাদার সামরিক দক্ষতা প্রদর্শন করেন। এই মহড়ার মূল লক্ষ্য হলো— শত্রুর যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের মুখে কঠোর ও কার্যকর জবাব নিশ্চিত করা।
এই সামরিক মহড়া এমন একসময় শুরু হলো, যখন লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) বরাবর কিয়ানি ও মন্ডল সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অকারণে’ গুলি চালানোর জবাবে পাকিস্তানি বাহিনী একটি ভারতীয় চৌকি ধ্বংস করে। ইসলামাবাদ দাবি করেছে, তাদের পাল্টা হামলায় ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের চক্রপুত্রাসহ একাধিক বাংকার ধ্বংস হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়। ভারত হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও এ বিষয়ে তারা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।
এই হামলার ঘটনার জেরে ভারত কূটনৈতিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ নেয়— সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল এবং ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করা হয়।
পাকিস্তান পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের কূটনৈতিক ও সামরিক উপদেষ্টাদের বহিষ্কার করে, ভারতীয় নাগরিকদের (শিখ তীর্থযাত্রী ছাড়া) ভিসা বাতিল করে এবং সীমান্তের নিজ অংশ বন্ধ করে দেয়।
মন্তব্য করুন