জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে নতুন সাজে সাজছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। আগের রূপ হারিয়ে নতুন করে যৌবন পাচ্ছে রাজধানী। নগরের বিভিন্ন দেয়ালে শোভা পাচ্ছে নান্দনিক চিত্রকর্ম। এ ছাড়া রোপণ করা হয়েছে নানা রঙ-বেরংয়ের ফুলের গাছ।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সম্মেলনের জন্য ১২ কোটি ডলারের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ভারতের সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবম্থান আরও শক্তিশালী হবে।
বস্তি উচ্ছেদ ভারতে এবারের সম্মেলন উপলক্ষে নয়াদিল্লির জনতা ক্যাম্প এলাকা থেকে ৫০০ মিটার দূরের একটি বস্তি উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়োরি থেকে শহরের শত শত বাড়িঘর এবং রাস্তার পাশের দোকানপাট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, উচ্ছেদের কিছু সময় আগেই বাসিন্দাদের নোটিশ দিয়ে সব গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নয়াদিল্লিভিত্তিক সংগঠন সেন্টার ফর হলিস্টিক ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও নির্বাহী পরিচালক সুনীল কুমার আলেদিয়া বলেন, সরকার সৌন্দর্যবর্ধনের নামে বাড়িঘর উচ্ছেদ করছে এবং ভাসমান লোকজনকে সরিয়ে দিচ্ছে। এটি যদি করতেই হয়, তাহলে সেখানকার বাসিন্দাদের তা সময় মতো জানিয়ে দেওয়া এবং পুনর্বাসন করা উচিত ছিল
প্রগতি ময়দানে নতুন কনভেনশন হল ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা, বইমেলাসহ বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত প্রগতি ময়দান। সম্মেলনকে সামনে রেখে নতুন প্রাণ পেয়েছে এটি। মেলার বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ভেঙে সেখানে ভরত মণ্ডপম নামের বিশ্বমানের কনভেনশন সেন্টার গড়া হয়েছে। এ জায়গাতেই অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলন।
বিস্তৃত গাড়ি পার্কিং সম্মেলন উপলক্ষে দুদিনে অসংখ্য গাড়িও চলাচল করবে। এজন্য এ কনভেনশন হল এলাকায় পার্কিংয়ের জন্য ভূগর্ভস্থ পথ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া একপাশে রয়েছে পাার্কিং এরিয়া।
দেয়ালচিত্র সম্মেলনে নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি জানান দিতে পাকিং এরিয়াসহ নগরের বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালচিত্র বা গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। রাস্তার চারিপাশে পরিবেশ করা হয়েছে ঝকমকে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে থ্রিডি পেইন্ট। যা নগরের সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা এনেছে।
আলোকজ্জল নতুন রূপ সম্মেলনে যোগ দিতে আসবেন বিশ্ব নেতারা। ফলে তাদের কাছে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরতে নতুন রূপে সেজেছে ভারত। নগরের অন্ধকার সব গলিতে আলোর ছড়াছড়ি। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি ভবন, সংসদ, ইন্ডিয়া গেট, প্রগতি ময়দান, বিমানবন্দরের রাস্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় দ্যুতি ছড়াচ্ছে মোহময়ী ও মায়াবীর আলো।
মন্তব্য করুন