বিজয়ের সন্দেহ ছিল স্ত্রীর সঙ্গে তার বন্ধু মরেশের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আর এ সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে মরেশের সঙ্গে দেখা করে তর্কে জড়ান তিনি। একপর্যায়ে ক্ষোভে বন্ধুর গলা কেটে রক্ত পান করতে দেখা যায় তাকে। গত ১৯ জুন ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজয় সন্দেহ করছিলেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া ছিল মরেশের। এরপর মরেশকে দেখা করতে বলেন তিনি। দেখা হওয়ার পর দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মহেশের গলা কেটে ফেলেন বিজয়। এরপর রক্ত পান করতে থাকেন। সেই সঙ্গে ঘুষি ও চড়-থাপ্পড়ও মারতে দেখা যায় তাকে। পুরো ঘটনাটি উঠে আসে এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ভিডিওতে।
এমন ভয়াবহ ঘটনার পরও প্রাণে বেঁচে যান মহেশ। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় বিজয়কে। কর্মকর্তারা বলছেন, বিজয়ের বিরুদ্ধে কেনচারলাহল্লি থানায় হত্যাচেষ্টার একটি মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন