ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা চলছে। ফলে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। অপরদিকে ১৫০টির মতো আসনে জয় নিয়ে সরকার গঠনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপির জোট এনডিএ। তবে প্রাথমিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও এখনই সরকার গঠনের আশা ছাড়ছেন না মল্লিকার্জুন-রাহুল গান্ধীরা।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, নির্বাচনের ফল ঘোষণা শেষ হওয়ার আগেই নরেন্দ্র মোদির এনডিএ জোটের ভেতরে-বাইরের বেশ কয়েক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস এসব নেতাকে জোটবদল করে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিয়ে সরকার গঠনের প্রস্তাব দিচ্ছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানতে পেরেছে, এনডিএ জোটের শরিক অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু এবং বিহারের জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডি-ইউ) প্রধান নীতীশ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাগড়ে। এ ছাড়া ওডিশার নবীন পাটনায়েকের বিজু জনতা দল (বিজেডি) এবং বিহারের লোক জনশক্তি পার্টির (রাম বিলাস) সঙ্গেও কথা হয়েছে তার।
বিহারে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ১৫টি লোকসভা আসনে এগিয়ে রয়েছে নীতীশ কুমারের দল। রাজ্যটিতে বিজেপি পাচ্ছে মাত্র ১৩টি আসন। একই জোটের দুই দল হিসেবে জেডি-ইউ বিজেপির প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে। নীতীশের সঙ্গে খাগড়ের যোগাযোগের বিষয়ে জেডি-ইউর এক নেতা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, তার দলের অবস্থান বদলের সম্ভাবনা কম।
নীতীশ কুমার এ বছরেই এনডিএ জোটে যোগ দিয়েছেন। এর আগে তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা ছিলেন। কংগ্রেসের এক নেতা বলেছেন, আজ মঙ্গলবার নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরী। তবে তিনি দেখা করেননি।
কংগ্রেস নেতাদের আশা, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকেও ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে রাজি করাতে পারবেন তারা। শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা রাজ্যটিতে ১০ আসনে এগিয়ে রয়েছে। শিবসেনার আরেক অংশের নেতা উদ্ভব ঠাকরের সঙ্গেও তাদের কথা হয়েছে।
বিজেডির নবীন পাটনায়েক বিজেপি বা কংগ্রেস—দুই দলের থেকেই সমান দূরত্ব বজায় রেখেছিল। তবে হিন্দুস্তান টাইমস জানতে পেরেছে, ওডিশা বিধানসভায় নিজেদের সুযোগ বাড়ানোর জন্য কংগ্রেসের সহায়তা চেয়েছে বিজেডি। ২০১৯ সালে রাজ্যটির বিধানসভায় কংগ্রেসের আসন ছিল নয়টি। তবে এখন দলটির দখলে রয়েছে ১৬টি আসন।
মন্তব্য করুন