ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাসুদ পেজেশকিয়ানের বিজয়ের খবর বেশ ফলাও করেই প্রচারিত হয়েছিল আমেরিকা, ইসরায়েলসহ পশ্চিমা গণমাধ্যমে। ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি পশ্চিমের ব্যাপারে অনেকটা নমনীয় হবেন এবং একটি বাস্তববাদী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করবেন। কেননা ২০০৫ সালের পর ইরানের ক্ষমতায় আসা প্রথম কোনো সংস্কারবাদী নেতা তিনি।
শুক্রবার (১২ জুলাই) তেহরান টাইমসে ‘নতুন বিশ্বের কাছে আমার বার্তা’ শিরোনামের একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। ওই নিবন্ধে তিনি জনগণের কাছে তার আগামীর পরিকল্পনা এবং নতুন সরকারের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে বিশদ তুলে ধরেছেন।
মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, আমাদের জাতীয় ও অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সব দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নীতি অনুসরণ করবে ইরান। নতুন সরকার ইরান ও এর জনগণের উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেবে।
শনিবার (১৩ জুলাই) আরেক বিবৃতিতে মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ উপেক্ষা করে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে তার দেশ। তিনি বলেন, মার্কিন চাপে ইরান সাড়া দেবে না।
ইরানের সংস্কারবাদী ও মধ্যপন্থি রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের দিকে গুরুত্ব না দিয়ে বরং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করবে। এ ছাড়া ইউরোপের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদারে তেহেরান কাজ করবে বলে জানান তিনি।
বিবৃতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে বাস্তবতা বঝুতে হবে, তেহেরান মার্কিন চাপকে গুরুত্ব দেয় না। বিশ্বের কাছে এটাই বার্তা।
৬৯ বছর বয়সী ইরানের নতুন প্রসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান একজন হার্ট বিশেষজ্ঞ। নির্বাচনের প্রচারপ্রচারণার সময় থেকেই তিনি ইরানে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমানো এবং ২০১৫ সালে পারমাণবিক চুক্তি বাস্তবায়নসহ সামাজিক বিভিন্ন সংকট দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন