সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১২ এএম
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজা খালি করতে চান ট্রাম্প, কোথায় যাবেন ফিলিস্তিনিরা

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে সরিয়ে গাজা উপত্যকা খালি করতে চান। তিনি মিসর ও জর্ডানের প্রতি গাজার বাসিন্দাদের আশ্রয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গত শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প তার এ প্রস্তাব তুলে ধরেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই মিসর ও জর্ডান গাজার আরও ফিলিস্তিনিকে তাদের দেশে আশ্রয় দিক। গাজা উপত্যকা এখন একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।’

তিনি বলেন, গাজার প্রায় ১৫ লাখ বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া উচিত, যেহেতু গাজার অধিকাংশ অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সেখানে মানুষ মারা যাচ্ছে।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন এবং মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও আলোচনার কথা রয়েছে।

ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে গাজার সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠন প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনটি দাবি করেছে, ট্রাম্পের মন্তব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ইঙ্গিত দেয়। ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।

এদিকে গাজার বাসিন্দারা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। ইসরায়েলি সেনারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করার অভিযোগ তুলে গাজার একটি প্রধান সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এর ফলে, হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি গাজার উত্তরাঞ্চলে তাদের বাড়ি ফিরতে পারছেন না।

ইতিহাসবিদরা মনে করছেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে স্থানান্তর করা হলে ১৯৪৮ সালের নাকবার (মহাবিপর্যয়) ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। কারণ ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পবিত্র আশুরা ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার শিক্ষা দেয় : বিএনপি নেতা

জুলাই শহীদদের স্মরণে জাতীয়তাবাদী কৃষিবিদদের দোয়া ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

নৌপথে চাঁদাবাজি, যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৬

ইউএনও’র বিদায় অনুষ্ঠান শেষে ফিরছিলেন আ.লীগ নেতা, অতঃপর...

নকল ওষুধ ও প্রসাধনী কারখানায় অভিযান, এক জনের কারাদণ্ড

বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেট যাচ্ছেন কাল

সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

এজবাস্টনে ভারতের ঐতিহাসিক জয়

গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার

১০

সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী

১১

এসিল্যান্ডসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১২

পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

১৩

অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড

১৪

৪৫ বছরে পদার্পণ করল লোক নাট্যদল

১৫

চিলমারীতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পুলিশের টহল জোরদার

১৬

সবার প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান

১৭

‘ডিসি-এসপিরা চিপায় পড়ে’ আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছেন : হাসনাত

১৮

অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দেখতে মাঠে ঢুকে পড়ল কুকুর

১৯

সংস্কার কমিশনের আগে সংস্কার জরুরি : খেলাফত আন্দোলনের আমির

২০
X