কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫, ০১:১১ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৫, ০১:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আবারও বিপজ্জনক হতে যাচ্ছে লোহিত-আরব সাগরে জাহাজ চলাচল

একটি জাহাজে হুথি বিদ্রোহীরা। ছবি : সংগৃহীত
একটি জাহাজে হুথি বিদ্রোহীরা। ছবি : সংগৃহীত

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আবারও লোহিত সাগর, আরব সাগর এবং বাব আল-মান্দাব প্রণালিতে সব ধরনের ইসরায়েলি জাহাজ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে। তবে সেটি কার্যকর হবে ইসরায়েলকে দেওয়া চার দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর।

মঙ্গলবার গোষ্ঠীটি এ ঘোষণা দেয়। তারা জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে তারা বদ্ধপরিকর। ঘোষিত আলটিমেটামের মধ্যে গাজায় ত্রাণবহর প্রবেশে ইসরায়েলি বাধা সরিয়ে নেওয়া না হলে ফের জাহাজে হামলা শুরু করা হবে।

হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি তার এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি টেলিভিশন ভাষণের মাধ্যমে এই বিবৃতি দিয়েছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

এর আগে প্রকাশিত ইয়েমেনের হুথিদের নেতা আল-হুথি শুক্রবার (৭ মার্চ) বলেছেন যে, যদি ইসরায়েল চার দিনের মধ্যে গাজায় ত্রাণবহর প্রবেশে বাধা প্রত্যাহার না করে, তাহলে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নৌ অভিযান পুনরায় শুরু করবে। এর ফলে জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির পর হুথিদের আক্রমণ বন্ধ হলেও তা আবার পুরোদমে শুরুর সম্ভাবনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটি ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজ লক্ষ্য করে ১০০টিরও বেশি আক্রমণ চালায়। তারা বলেছে, গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ওই সব হামলা চালানো হয়েছে।

সেই সময়কালে হুথিরা দুটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়, একটি আটক করে এবং কমপক্ষে চার নাবিককে হত্যা করে। এসব আক্রমণ বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচল ব্যাহত করে। এমনকি অনেক সংস্থা দক্ষিণ আফ্রিকার চারপাশে দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল রুট ব্যবহার করতে বাধ্য হয়।

এদিকে হুথি নেতা আব্দুল মালিক আল-হুথি বলেছেন, তার বাহিনী আলটিমেটাম শেষ হয়ে গেলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২৯৫ জন অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করল চসিক

যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন ইউনূস-রুবিও

করোনার ‘ভুল রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা’, অতঃপর...

ইরানে একাধিক ইউরোপীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

ঢাবি শিক্ষার্থী সৌমিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর

গাজাবাসীর জন্য বিশেষ ভিসা চালু করতে স্টারমারকে ব্রিটিশ এমপিদের চিঠি

পাবিপ্রবিতে শিক্ষাবৃত্তি ও গবেষণা প্রণোদনা প্রদান

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান নিয়ে বিএনপির কমিটি

মেহেরপুরে পৃথক দুই মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১০

ডিএনএ বায়োল্যাব-এইচজিআরটিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

১১

এবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

১২

জবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আয় ১২ কোটি টাকা  

১৩

সন্তানের কলেজ থেকে ফিরছিলেন দম্পতি, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

১৪

শ্রীলীলার পারিশ্রমিক বেড়ে দ্বিগুণ

১৫

‘যতদিন ফুটবল ভালোবাসব, খেলে যাব’—ভবিষ্যৎ নিয়ে খোলামেলা নেইমার

১৬

যেভাবে বদলে গেল এনবিআর সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত

১৭

ডিসি-এসপিদের কর্তৃত্ব বাদ, ক্ষমতা পেলেন ইসি কর্মকর্তারা

১৮

ইসরায়েলি সেনাছাউনি জ্বালিয়ে দিল ইহুদিরা

১৯

ইসরায়েলের বিপক্ষে বিশ্বকাপে খেলতে অস্বীকৃতি জর্ডানের

২০
X