কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েলের রাজপথ

ফাইল ছবি।
ফাইল ছবি।

একদিকে গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী, অন্যদিকে খোদ ইসরায়েলেই নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে হাজারো মানুষ। গাজায় নতুন করে হামলা শুরুর প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা। একইসঙ্গে তারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শেন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

গতকাল শনিবার রাজধানী তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এই হামলার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হেনেছেন নেতানিয়াহু। তারা গাজায় নতুন আরেকটি যুদ্ধবিরতিরও আহ্বান জানাচ্ছেন।

বিক্ষোভের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কও অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। সবচেয়ে বেশি উত্তাল হয়ে উঠেছে জেরুজালেম ও তেল আবিব। এ ঘটনায় ১২ জন বিক্ষোভকারীকে আটকও করেছে ইসরায়েলের পুলিশ। সমালোচকরা বলছেন, রোনেন বারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নেতানিয়াহু ইসরায়েলের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও এগুলোর ভিত্তিকে দুর্বল করে দিতে চাইছেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গত মঙ্গলবার গাজায় নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাস ও ইসরায়েলের হাতে বন্দিদের মুক্তির জন্য হওয়া ওই চুক্তি গাজাসহ ওই অঞ্চলে খানিকটা স্বস্তি বয়ে এনেছিল। তবে নতুন করে ইসরায়েলি হামলার পর গাজা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, তিনি রোনেন বারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। ২০২১ সালে গোয়েন্দা সংস্থা শেন বেতের প্রধান হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। রোনেনের বরখাস্তের আদেশ আগামী ১০ এপ্রিল কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।

নেতানিয়াহু সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই ফুঁসে ওঠে ইসরায়েলিরা। টানা তিন দিন ধরে ইসরায়েলে বিক্ষোভ চলছে। তবে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় হামলা চালানোর পর ইসরায়েলিরা আর ঘরে বসে থাকেনি। দলে দলে রাস্তায় নেমে আসে তারা।

নেতানিয়াহু রাজনৈতিক কারণেই এই হামলা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা। এমনকি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি থাকা ৫৯ ইসরায়েলির ভাগ্য নিয়েও ছিনিমিনি খেলছেন নেতানিয়াহু। ধারণা করা হচ্ছে, এখনো ২৪ জন ইসরায়েলি জিম্মি জীবিত রয়েছেন। যুদ্ধের পরিবর্তে তাদের ফিরিয়ে আনতেই আগ্রহ বেশি সাধারণ ইসরায়েলিদের।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, আমরা দেড় বছর পর আবারও গাজায় ভয়াবহ যুদ্ধ দেখছি। এখনো গাজার ক্ষমতায় হামাস। এখনো ওই সংগঠনের হাজার হাজার যোদ্ধা রয়ে গেছে। সুতরাং এই যুদ্ধে ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকার তার লক্ষ্য অর্জনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ১০৬ মামলায় চার্জশিট দিল পুলিশ

খালেদা জিয়াকে দেখে এসে যা বললেন জামায়াত আমির

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ছিনতাই

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডিভাইডারের গ্রিল ভেঙে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

৮ কুকুরছানাকে হত্যা, ইউএনও কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে মা কুকুর

অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৬ ভারতীয় নাগরিকের জামিন

খালেদা জিয়া ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলা শিখিয়েছেন : রাশেদ

২১৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন সভাপতি

নতুন বেতন কমিশন বাস্তবায়ন নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা

‘যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তারা দেশপ্রেমিক হতে পারে না’

১০

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ঢাকা উত্তর ছাত্রদলের দোয়ার আয়োজন

১১

জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী হোসাইন, মহাসচিব মোস্তাফিজুর

১২

সাতক্ষীরায় শিক্ষকদের কর্মবিরতি, সংঘর্ষের ছবি নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মারমুখী আচরণ

১৩

শিক্ষকদের কৌশলে ভর্তি অনিশ্চিত শিক্ষার্থীদের

১৪

ইরাকে চাকরির বিষয়ে দূতাবাসের সতর্কতা

১৫

টেবিলে দাঁড়িয়ে মুফতি আমির হামজার বক্তব্য, তুমুল সমালোচনা

১৬

২০২৬ বিশ্বকাপে ভিএআর নিয়ে বড় পরিবর্তনের পথে ফিফা

১৭

রুয়েট কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে : উপাচার্য

১৮

সীমান্তে ২ বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, বিএসএফের অস্বীকার

১৯

দেশে স্বর্ণের দাম কমলো

২০
X