ইসরায়েলি হামলার জবাবে অভিযান জোরদার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। তবে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সোমবার রাতে ইয়েমেনের বন্দরনগরী হুদায়দায় ৩০টিরও বেশি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালায়।
একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, এই বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে পরিচালিত হয়েছে। চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে, ইয়েমেনের আল-মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, ৪ মে থেকে আমেরিকা আল-জাওফ ও মারিবসহ বিভিন্ন প্রদেশে ৩৫টি হামলা চালিয়েছে।
মার্চ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের যৌথ আগ্রাসনে ইয়েমেনে ১,০০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বোমাবর্ষণ হয়েছে। এসব হামলার উদ্দেশ্য- লোহিত সাগরের পথ ব্যবহার করে ইসরায়েল বা ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে হুতি হামলা এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনে হুতিদের প্রতিরোধ বন্ধ করা।
সম্প্রতি ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনার পর এই আগ্রাসন শুরু হয়।
ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন প্রতিশোধমূলক অভিযান পরিচালনা করেছে।
সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানান, এই হামলার ফলে ৩০ লাখেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন এবং বিমানবন্দরের কার্যক্রম ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকে।
মন্তব্য করুন