কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
আপডেট : ২৫ মে ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘রাতের ঘুম হয় কীভাবে?’ নেতানিয়াহুকে জিম্মি স্বজনদের প্রশ্ন

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চলছে, হামাসের হাতে এখনো বহু ইসরায়েলি জিম্মি। এই পরিস্থিতিতে জিম্মিদের মুক্তির পরিবর্তে সরকার যুদ্ধকে প্রাধান্য দিচ্ছে- এমন অভিযোগ তুলে ফুঁসে উঠেছেন জিম্মিদের স্বজনরা।

স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ মে) তেলআবিব, শার হানেগেভ জাংশন, কিরিয়াত গাত ও জেরুজালেমের রাস্তায় বিক্ষোভে নামেন তারা। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা, প্রশ্ন তোলেন- রাতের ঘুম হয় কীভাবে, মিস্টার নেতানিয়াহু?

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, গাজায় সেনা অভিযান জোরালো হওয়ায় জিম্মিদের মুক্তির সম্ভাবনা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

দেশটির জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবার পরিষদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আমরা ফের আলোচনার আহ্বান জানাই। যতক্ষণ না শেষ জিম্মি ঘরে ফিরে, আলোচনা থামানো যাবে না।

জিম্মি মাতান ঝানগাউকারের মা, এইনাভ ঝানগাউকার বিক্ষোভে বলেন, বলুন দেখি প্রধানমন্ত্রী, আপনি রাতে ঘুমান কীভাবে আর সকালে ঘুম থেকে ওঠেনই বা কীভাবে? ৫৮ জন জিম্মিকে ত্যাগ করে আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে পারেন?

বিক্ষোভ আরও উত্তপ্ত হয় যখন জানা যায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত-এর নতুন প্রধান হিসেবে মেজর জেনারেল ডেভিড জিনিকে মনোনীত করেছেন নেতানিয়াহু।

জিনি অতীতে বেশ কয়েকটি সামরিক বৈঠকে বন্দিবিনিময় চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন বলে খবর দিয়েছে ইসরায়েলি চ্যানেল টুয়েলভ। তিনি মনে করেন, গাজা যুদ্ধ হবে দীর্ঘমেয়াদি, আর তার ভাষ্য অনুযায়ী, জিম্মিদের উদ্ধার এই প্রক্রিয়ার অগ্রাধিকার নয়।

এই মনোনয়নের প্রতিক্রিয়ায় জিম্মিদের স্বজনরা বলেন, যদি সত্যিই জিনি এমন মনোভাব পোষণ করে থাকেন, তা হলে সেটা নিন্দনীয় ও ভীতিকর। যুদ্ধপন্থি এমন একজনকে গোয়েন্দা প্রধান করা পুরো জাতির প্রতি অন্যায়।

আল জাজিরার জর্ডান প্রতিনিধি হামদা সালহুত মন্তব্য করেন, গাজায় সামরিক চাপ বাড়ানোর পক্ষে থাকার কারণেই জিনিকে বেছে নিয়েছেন নেতানিয়াহু।

জিম্মিদের স্বজনদের আশঙ্কা, অব্যাহত হামলায় যারা এখনো জীবিত আছেন, তারাও হয়তো প্রাণ হারাবেন। অথচ নেতানিয়াহু সরকার যে অবস্থানে রয়েছে, তাতে কোনো ধরনের দ্রুত সমাধানের সম্ভাবনা ক্ষীণ।

এদিকে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থি। এই সরকারের বড় একটি অংশ যুদ্ধবিরতির ঘোর বিরোধী। ফলে যুদ্ধ এবং রাজনীতির মাঝে জিম্মিদের জীবন এখন গভীর অনিশ্চয়তায় ঘেরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সংস্কার-বিচার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছি : মঞ্জু

বৈষম্যবিরোধীর ৫ নেতা যোগ দিলেন ছাত্রদলে

রিশাদ থাকলেও ফাইনালে লাহোরের একাদশে নেই সাকিব

আইজ অন’এর নতুন সংযোজন ‘স্ট্রেইট কাট তুষার’

শিক্ষক সংকটে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে

নিজ ভিটাতেই শায়িত হলেন শহীদ হাসান

একই মঞ্চে ওসি, কমিশনারের সঙ্গে আ. লীগ নেতা

সিএমপিতে দুই থানায় ওসি পদে রদবদল

‘আ.লীগের আমলে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের জবাবদিহিতা করতে হবে’

বাউবি ও রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

১০

ইসরায়েলের চেষ্টায় থামবে না ইরানের পারমাণু কর্মসূচি : সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১১

যমুনায় ইসলামি দলগুলোর নেতারা

১২

রাকসুর তপশিল ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবি ‘সংস্কার আন্দোলনের’

১৩

এনবিআর কর্মকর্তাদের দাবি মেনে নিল সরকার

১৪

রানার অটোমোবাইলস পিএলসি নিয়ে এলো ইয়াদিয়ার স্কুটার

১৫

ভিজিএফ কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ

১৬

এবার নুরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন

১৭

বাংলাদেশে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করতে চায় চীন : দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

১৮

৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ রুটিন প্রকাশ

১৯

অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু

২০
X