ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় এসেছে ২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) কর্তৃক বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি। যদিও এই পরোয়ানা বাস্তবায়নে কোনো দেশ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি, তবুও নেতানিয়াহু ভয়ে দিন পার করছেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পথে নেতানিয়াহুকে বহনকারী বিমানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে এর প্রমাণ মিলল।
ফ্লাইট ট্র্যাকার থেকে দেখা গেছে, বিমানটি ফ্রান্স ও স্পেনের আকাশসীমা এড়িয়ে গ্রিস ও ইতালির ওপর দিয়ে উড়ে গেছে। আর এতে বিমানটিতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। ছিল ভ্রমণ ঝুঁকিও। কিন্তু সেই কঠিন পথেই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে পৌঁছান।
ফিলিস্তিন ইস্যুর দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের অন্যতম উদ্যোক্তা ফ্রান্স। দেশটির তদবিরেই অধিবেশন উপলক্ষে একের পর এক ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এ ছাড়া গাজায় গণহত্যা বন্ধ না হলে কঠোর পদক্ষেপের হুমকিও দিয়ে আসছে। অপরদিকে ফ্রান্স আইসিসির সদস্য। তাই আইন অনুযায়ী এই পরোয়ানা কার্যকর করতে তারা বাধ্য। যদিও তা না করলেও তেমন কোনো জবাবদিহির আওতায় আসবে না ফ্রান্স।
আইসিসির পরোয়ানা জারির পরও ফ্রান্স তার আকাশ পথ ব্যবহারে নেতানিয়াহু বেশ কয়েকবার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু এবারই প্রথম নেতানিয়াহুর বিমান পূর্ব পরিকল্পনামাফিকই ফ্রান্সের আকাশপথ এড়িয়ে গেল। এর কোনো ব্যাখ্যাও দেয়নি তার দপ্তর ।
জেরুজালেম পোস্ট জানায়, গাজায় হামলার কারণে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেই কারণেই উড়োজাহাজের পথ পরিবর্তন করা হয়েছে। আরেকটি কারণ হলো, আইসিসির সদস্যদেশগুলো আইনি পদক্ষেপের মুখে থাকা ব্যক্তিদের তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে নাও দিতে পারে। তাই মাঝপথে ঝুঁকি নিতে চাননি নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন