যুক্তরাষ্ট্র গোপনে ইসরায়েলকে ৩০০টি ভয়ংকর ‘হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র’ দিয়েছে। এই অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে ইরানে হামলার ঠিক আগে। এছাড়া ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সহায়তা করেছে বলেও জানিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা। খবর দ্য জেরুজালেম পোস্টের।
খবরে বলা হয়, মার্কিন কংগ্রেস ফেব্রুয়ারিতে যে ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি অনুমোদন করেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র সেই প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাই এই অস্ত্র সরবরাহের জন্য নতুন কোনো অনুমতির প্রয়োজন হয়নি।
মঙ্গলবার (১০ জুন) ইসরায়েলে এই ৩০০টি ‘হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র’ পাঠানো হয়। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমকে মার্কিন দুই কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল কবে ইরানে হামলা চালাবে, তা আগেই জানত যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ভোরে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই হামলা চালায় ইসরায়েল।
মার্কিন কর্মকর্তারা আরও বলেন, ইরানের পাল্টা হামলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের মাটিভিত্তিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরায়েলকে সাহায্য করে। ইরান তখন ইসরায়েলে ১৫০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
‘হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র’
‘হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র’ লক্ষ্যভেদে খুবই কার্যকর। এটি সাধারণত ব্যক্তিকে নিশানা করা বা কোনো নির্দিষ্ট ঘাঁটি ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়। একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, এই ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের অনেক কাজে লেগেছে। ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ইরানের অভ্যন্তরে ১০০টির বেশি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। তারা ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের, পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের এবং নিয়ন্ত্রণ ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৭৮ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৩২০ জনের বেশি। অপরদিকে, ইরানের পাল্টা হামলায় তেলআবিবে এক ইসরায়েলি নারী নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের ছোড়া ১৫০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০০টি ড্রোনের বেশিরভাগই ভূপাতিত করেছে। তারা আরও জানায়, এই প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সরাসরি সহায়তা করেছে।
মন্তব্য করুন