ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিরুদ্ধে সরাসরি হুমকি উচ্চারণ করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ। তিনি সতর্ক করে বলেন, খামেনি যদি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বর্তমান নীতিতে অটল থাকেন, তাহলে তার পরিণতিও হতে পারে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের মতো।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে কাতজ বলেন, `আমি ইরানি শাসককে সতর্ক করে দিচ্ছি- যুদ্ধাপরাধ এবং ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রাখলে তাকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।'
এই হুঁশিয়ারির মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যে। তেহরান এবং তেলআবিবের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হুমকি‑ধমকি এবং হামলার প্রেক্ষাপটে এমন বক্তব্যকে বিশেষজ্ঞরা একটি সরাসরি যুদ্ধ বার্তার শামিল হিসেবে দেখছেন।
এদিকে কানাডায় অনুষ্ঠিত জি৭ সম্মেলন থেকে ফিরে যাওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তিনি ইরানের সঙ্গে কোনো যুদ্ধবিরতি চান না। বরং তিনি চান একটি স্থায়ী এবং বাস্তব চুক্তি, যার মাধ্যমে ইরান পরমাণু অস্ত্রের পথ চিরতরে ত্যাগ করবে।
ট্রাম্প বলেন, আমি কখনোই যুদ্ধবিরতির কথা বলিনি। আমি চাই, এই সমস্যার একটি পূর্ণাঙ্গ সমাপ্তি হোক। অর্থাৎ ইরানকে অবশ্যই পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে। তিনি এ মন্তব্য করেন এয়ার ফোর্স ওয়ানে থাকা অবস্থায়, ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে যাত্রার পথে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নেতানিয়াহুর সরকারের কড়া অবস্থান এবং ট্রাম্পের স্থায়ী চুক্তির আকাঙ্ক্ষা- দুটি ভিন্ন কৌশল হলেও উভয়ের লক্ষ্য ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখা। তবে হুমকি আর কূটনীতির এই মিশ্র বার্তা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও জটিল করে তুলছে।
মন্তব্য করুন