কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফুরিয়ে আসছে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার

ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ছবি : সংগৃহীত

ইরানের হামলায় নাকানিচুবানি খাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটি ইরানের হামলা মোকাবেলায় টানা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবহার করছে। এতে ফুরিয়ে আসছে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার।

সোমবার (১৬ জুন) মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেন, ইরানের সঙ্গে টানা চার দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল দ্রুতগতিতে তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ইন্টারসেপ্টর ব্যবহার করছে। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মজুদ ক্রমশ কমছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কিছু মহলে উদ্বেগ রয়েছে যে ইরানের ওপর সরাসরি মার্কিন হামলা হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও বড় পাল্টা হামলা হতে পারে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপ্টরের মজুদ ‘ভয়ানক’ মাত্রায় হ্রাস পেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ওই কর্মকর্তা।

মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, ইসরায়েল তিন স্তরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। তবে ইরানের সাম্প্রতিক হামলা এই ব্যবস্থার সবচেয়ে উন্নত স্তরগুলোর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ইসরায়েলের প্রথম স্তরে রয়েছে আয়রন ডোম, যা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর মতো গোষ্ঠীর ছোট পাল্লার রকেট ও ড্রোন ধ্বংস করে। দ্বিতীয় স্তরে ডেভিড’স স্লিং, যা ভারী রকেট ও কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করতে পারে। তৃতীয় স্তরে রয়েছে অ্যারো-২ এবং অ্যারো-৩, যা ব্যালিস্টিক ও বায়ুমণ্ডলের বাইরে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম।

তবে, অ্যারো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সরবরাহ পুনরায় পূরণ করা ইসরায়েলের জন্য দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ। গত বছর এপ্রিলে ইরানের প্রথম হামলার পর থেকেই অ্যারো ইন্টারসেপ্টরের মজুদ পুনঃসরবরাহে ইসরায়েল হিমশিম খাচ্ছে বলে গত সেপ্টেম্বরে মিডল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল। এই ইন্টারসেপ্টরগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যৌথভাবে উৎপাদন করে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ড্যান ক্যালডওয়েল এক্স-এ লিখেছেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে ব্যবহৃত ইন্টারসেপ্টরগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং বড় পরিমাণে উৎপাদন করা কঠিন।

তিনি আরও বলেন, ধরে নিচ্ছি, ইসরায়েলের কাছে অ্যারো ও ডেভিড’স স্লিংয়ের জন্য স্টানার ক্ষেপণাস্ত্রের পর্যাপ্ত মজুদ ছিল। কিন্তু হুতিদের বিরুদ্ধে এবং গত বছর ইরানের হামলায় এর অনেকটাই ব্যয় হয়ে গেছে। ফলে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে শীঘ্রই তাদের ইন্টারসেপ্টর ব্যবহারে সীমিত করতে হতে পারে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস অফিস জানিয়েছে, গত ১৩ জুন থেকে ইরান ইসরায়েলের ওপর অন্তত ৩৭০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আগামী পাঁচ দিন দেশজুড়ে ভারি বর্ষণের শঙ্কা

নেপালকে হারিয়ে জয়ের পথে ফিরল বাংলাদেশের মেয়েরা

ফ্যামিলি মেডিসিনের পথপ্রদর্শক প্রাভা হেলথের ৮ বছর পূর্তি উদযাপন

কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আইনজীবীসহ নিহত ২

কেজিএফ নয়, আয়ের রেকর্ড তৈরি করেছিল অন্য এক সিনেমা

ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না : ধর্ম উপদেষ্টা

এবার নিজ জেলায় ফজলুর রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

চাকসুর তফসিল ঘোষণার সময় জানাল প্রশাসন

ফজলুর রহমানকে নিয়ে ৯৭ সংগঠনের যৌথ বিবৃতি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া বিপ্লব হবে অপূর্ণ : ডা. তাহের

১০

স্মরণসভায় সাংবাদিকরা / গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস করেননি আবদুস শহিদ

১১

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৬ সেপ্টেম্বর

১২

নেইমারের জন্য আবার দুঃসংবাদ

১৩

পাচারের সময় সীমান্তে অস্ত্র উদ্ধার

১৪

যেভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ছে

১৫

‘রিট করার মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনকে বানচালের পাঁয়তারা চালাচ্ছে শিবির’

১৬

কুমিল্লায় একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় সেই বাসটি জব্দ

১৭

অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে কোটি টাকার গহনা উধাও

১৮

বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণে আরও সময় প্রয়োজন : ডিসিসিআই সভাপতি

১৯

‘অলৌকিকভাবে’ ঘরবাড়িতে ধরছে আগুন, আতঙ্কে গ্রামবাসী

২০
X