মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
শনিবার (২১ জুন) ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ৫১তম অধিবেশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেন। খবর টিআরটি গ্লোবাল।
ইসরায়েল এখন কেবল দখলদার নয়, বরং পুরো অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়ানোর নীলনকশা নিয়েই এগোচ্ছে উল্লেখ করে এরদোয়ান স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ইরানে ইসরায়েল যা করছে, তা পুরোপুরি গুন্ডামি। তার মতে, এই আগ্রাসন কোনো সামরিক কৌশল নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের উদাহরণ।
এরদোয়ান বলেন, নেতানিয়াহুর সরকার আঞ্চলিক শান্তির সবচেয়ে বড় বাধা। তারা হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা, স্কুলসহ বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে, যেখানে শিশু ও নারীসহ নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পরিস্থিতিকে নাৎসি বাহিনীর কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের চেয়েও ভয়াবহ বলে মন্তব্য করে এরদোয়ান বলেন, নেতানিয়াহু যে জাতিবিদ্বেষী স্বপ্ন দেখছে, তা কেবল বিশ্বকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে- এতে কারও কোনো লাভ নেই।
এরদোয়ান ১৩ জুন ইরানে চালানো ইসরায়েলি হামলাকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ হিসেবে আখ্যা দেন। বলেন, এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক আলোচনায় কূটনৈতিক পথ বন্ধ করে দিতে চায়। একদিকে ইসরায়েল নিজের পারমাণবিক সক্ষমতা লুকিয়ে রাখছে, অন্যদিকে অন্যদের বাধা দিচ্ছে- এটাই সবচেয়ে বড় ভণ্ডামি।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, নেতানিয়াহুর সরকার ও তার হত্যাকারী বাহিনী কূটনীতির কোনো পথ খোলা রাখতে চায় না। তারা কেবল আগ্রাসন ও ধ্বংসের পথে চলছে।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান, ইসরায়েলের উসকানিমূলক বক্তব্য ও হামলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে এবং উত্তেজনা প্রশমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।
এরদোয়ানের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ইসরায়েল একাধিক মুসলিমপ্রধান দেশ যেমন লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং সর্বশেষ ইরানে সামরিক হামলা চালিয়েছে, যা পুরো অঞ্চলকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে।
মন্তব্য করুন