কাতারের দোহায় অবস্থিত মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলার পর এক বিবৃতিতে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল বলেছে, এই হামলা আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ কাতার এবং এর মহৎ জনগণের বিরুদ্ধে নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি কাতারের আবাসিক এলাকা থেকে দূরে ছিল। এটি সুনির্দিষ্টভাবে মার্কিন অবস্থানেই চালানো হয়েছে।
সুপ্রিম কাউন্সিল বলেছে, ‘এই পদক্ষেপটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ কাতার এবং এর মহৎ জনগণের জন্য কোনও হুমকি সৃষ্টি করে না এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান কাতারের সাথে উষ্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে, কাতার এই হামলাকে তার সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানায়।
এর আগে, ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস এবং ব্রিটিশ বিবিসি অ্যারাবিক জানায়, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) আল উদেইদ ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম এটিকে ‘প্রতিশোধমূলক হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
হামলার আগে থেকেই আল উদেইদ ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হুমকির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন এক পশ্চিমা কূটনীতিক। হামলার পরপরই নিরাপত্তার স্বার্থে কাতার সাময়িকভাবে আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় এবং দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের ‘অত্যন্ত সতর্কতা’ অবলম্বনের আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
উল্লেখ্য, দোহার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত আল উদেইদ বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৯৬ সালে প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এই ঘাঁটিতে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক উপস্থিতি।
মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নতুন করে উত্তেজনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন