কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শিয়া-সুন্নি বিরোধে অভিযুক্তের কাতারে খামেনি, ইরানের অবস্থান কী

শিয়া-সুন্নি বিরোধের প্রতীকী ছবি
শিয়া-সুন্নি বিরোধের প্রতীকী ছবি

‘তোমরা সবাই আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ সূরা আল ইমরানের ১০৩ নম্বর আয়াত এটি। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি প্রায়ই এই আয়াত উদ্ধৃত করে বক্তব্য দেন। তিনি বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্যের পক্ষে জোরাল ভূমিকা রেখেছেন। যদিও অনেকে শিয়া এবং সুন্নি ইস্যুতে তার মত পার্থক্য তুলে ধরেছেন।

তবে এ বিষয়ে খামেনি স্পষ্ট করে বলেছেন, শিয়া-সুন্নি বিভেদ ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র। ২০১০ সালে ইসলামী ঐক্য সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে মিল বেশি, ফারাক নয়। শত্রুরা চায় বিভাজন। কিন্তু মুসলমানদে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

খামেনিকে শুধু একজন রাজনীতিক বা আলেম নয় বরং মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হিসেবেও তাকে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার একক অবস্থান তাকে অনন্য একটি অবস্থানে নিয়ে গেছে।

খামেনির রাজনৈতিক উত্থান শুরু হয় ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন ইমাম রুহুল্লাহ খোমেনির ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিপ্লবের অন্যতম মুখ। বিপ্লবের পর তিনি ইরানের প্রথম আলেম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পরে ১৯৮৯ সালে ইমাম খোমেনির মৃত্যুর পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং আজও সেই পদে অধিষ্ঠিত আছেন।

খামেনি বহুবার সৌদি আরব, মিশর, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন সুন্নি দেশের আলেমদের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনিরা সুন্নি সত্ত্বেও তিনি তাদের প্রতিরোধকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘আজ ফিলিস্তিনকে রক্ষা মানে ইসলামকে রক্ষা করা।’ ২০১৪ সালেও গাজার ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় তিনি প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন জানান। বর্তমানেও তার অবস্থানের নড়চড় হয়নি।

সৌদি আরব ও বাহরাইনের মতো সুন্নি নেতৃত্বাধীন দেশগুলো তাকে ‘শিয়া সম্প্রসারণবাদের’ অভিযোগে অভিযুক্ত করে আসছে। তবুও খামেনি বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, তার লক্ষ্য শিয়া আধিপত্য নয় বরং মুসলিম বিশ্বকে একত্রিত করা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শান্ত-সৌম্যর বাদ পড়ার কারণ জানালেন গাজী আশরাফ

বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী

‘এখন কাউকে ধরতে যৌক্তিক কারণ লাগে না, তবে সত্যের জয় হবে’

হাওরে নৌকা ডুবে নিখোঁজ ২

‘পৃথক সচিবালয় ছাড়া বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়’

রাতের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি

বেসরকারি সংস্থায় চাকরি, বেতন ৩৮০০০ টাকা

চট্টগ্রামে শিল্পী সম্মিলন ও আর্ট ক্যাম্পে মিলন মেলা

যে কারণে এশিয়া কাপ দলে সোহান-সাইফ, জানালেন প্রধান নির্বাচক

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কবে, জানালেন প্রশাসক

১০

ভারতে মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন থালাপতি বিজয়

১১

‘নির্বাচনে কাজ করবে সাড়ে ৬ লাখ আনসার-ভিডিপি’

১২

কারাগারে গোয়েন্দা সংস্থার ভুয়া সদস্য আটক

১৩

মেহেদী হত্যা মামলায় কারাগারে আনিসুল-মেনন 

১৪

১৯ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৫

‘যারা বলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না, তারা বোকার স্বর্গে বাস করে’

১৬

চোখ পিটপিট বেশি করে ছেলেরা নাকি মেয়েরা? 

১৭

এশিয়া কাপের আগে ভারত শিবিরে আরও দুঃসংবাদ

১৮

সৈকতে ভেসে এলো বিরল প্রজাতির পাইন্না সাপ

১৯

অজ্ঞাত একাধিক দেশে অস্ত্র কারখানা গড়ে তুলেছে ইরান

২০
X