বাংলাদেশ দলের এশিয়া কাপ স্কোয়াড ঘোষণা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে নানা প্রশ্ন। বাদ পড়েছেন কেউ, কেউ আবার পাননি প্রত্যাশিত সুযোগ। তবে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ জানান, কারও জন্যই দরজা বন্ধ হয়নি। বরং প্রত্যেককেই তাদের পারফরম্যান্স দিয়ে ফেরার পথ তৈরি করতে হবে।
নির্বাচক কমিটি স্পষ্ট করেছে—শান্ত ও নাহিদ রানার মতো ক্রিকেটাররা এখনও দলের পরিকল্পনায় আছেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জায়গা ধরে রাখতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই। এ প্রসঙ্গে গাজী আশরাফ বলেন, ‘কারো জন্যই আমাদের দরজা বন্ধ নয়। তবে পারফরম্যান্স দিয়েই জায়গা পুনরুদ্ধার করতে হবে। নাহিদ-শান্তদের জন্য বিপিএল ও এনসিএল টি-টোয়েন্টিই বড় মঞ্চ।’
শান্তের সঙ্গে তো নির্বাচকরা সরাসরিই কথা বলেছেন। জানানো হয়েছে, দলে ফেরার জন্য তাকে কী করতে হবে।
এদিকে নাইম শেখ প্রতিশ্রুতিশীল ওপেনার হিসেবে দারুণ আশার সঞ্চার করেছিলেন নাইম শেখ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই সম্ভাবনার ছিটেফোঁটাও মাঠে তুলে ধরতে পারছেন না তিনি। গাজী আশরাফের ভাষায়, ‘নাইম কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আমরা ভেবেছিলাম সে জায়গা দখল করবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চের চ্যালেঞ্জ সামলাতে পারেনি। এখন তাকে আরও উন্নতি করতে হবে, আমরা সহযোগিতা করব।’
অর্থাৎ বোর্ড আস্থা হারায়নি, তবে নাইমকেই প্রমাণ করতে হবে যে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত।
এদিকে দীর্ঘ ১০ বছরের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে সৌম্য সরকারের। ওপেনার হিসেবে অভিষেকের পর সুযোগ পেয়েছেন বারবার। কিন্তু ধারাবাহিকতা না থাকায় এবার ২৫ জনের প্রাথমিক তালিকায় থেকেও ১৬ জনের ভেতরে জায়গা পাননি। নির্বাচকদের যুক্তি, ‘সৌম্য এখন তৃতীয় ওপেনার। ৮৯ ম্যাচ খেলার পর সে জানে ফিরতে হলে কী করতে হবে। তার সামর্থ্য আছে, সেটাকে আরও ক্ষুরধার করতে হবে।’
অর্থাৎ দলে ফেরার রাস্তা খোলা, তবে তা পারফরম্যান্স দিয়েই নিশ্চিত করতে হবে।
শান্ত-নাহিদদের জন্য আত্মউপলব্ধি, নাইমের জন্য পরিশ্রম আর সৌম্যের জন্য ধারাবাহিকতা—এই তিন বিষয়কেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন নির্বাচকরা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখতে হলে ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগই হবে তাদের প্রকৃত প্রস্তুতির জায়গা।
মন্তব্য করুন