ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ৩১,০০০ ভবন ও ৪,০০০ যানবাহন সম্পূর্ণ ধ্বংস বা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ‘দেফা প্রেস’। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস-কে উদ্ধৃত করে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ক্ষয়ক্ষতি প্রমাণ করে, চলমান সংঘাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলে ‘অভাবনীয় ও অপূরণীয় ধ্বংস’ এনেছে।
উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল প্রথম ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী হামলা শুরু করে। টানা ১২ দিন ধরে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক স্থাপনা ও আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা চালায়। এর জবাবে ইরানও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখায়।
২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায়—নাতাঞ্জ, ফোর্দো ও ইসফাহানে সামরিক হামলা চালায়। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানি সামরিক বাহিনীও মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায়।
দেফা প্রেস বলছে, ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ডস কর্পসের অ্যারোস্পেস ফোর্স ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ III’-এর আওতায় ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ২২টি ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে দখলদার অঞ্চলের একাধিক শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরান কাতারে অবস্থিত পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল উদেইদ বিমান ঘাঁটির ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
শেষ পর্যন্ত, ২৪ জুন কার্যকর হওয়া একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে দুপক্ষের সংঘর্ষ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত ভারসাম্যে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে আরও উত্তেজনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন