গাজায় চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের মূল আলোচনা থাকবে গাজার মানবাধিকার সংকট ও ইসরায়েলের সাথে ইইউর চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক নিয়ে।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কাজা কাল্লাস জানিয়েছেন, তিনি সদস্য দেশগুলোর সামনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য ১০টি পদক্ষেপ তুলে ধরবেন। ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্ভাব্য পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে তেল আবিবের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্নকরণ, তাদের মন্ত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা, ভিসাবিহীন ভ্রমণ সুবিধা স্থগিতকরণ ইত্যাদি। তবে গাজা নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে একমত হতে পারেনি ইইউ সদস্যরা।
এ বিষয়ে কাজা কাল্লাস স্পষ্ট করে বলেন, আমাকে শুধু সম্ভাব্য পদক্ষেপের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব এখন সদস্য রাষ্ট্রগুলোর।
ইইউর ভবিষ্যত পদক্ষেপ অনেকটাই নির্ভর করছে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের ইসরায়েলি প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হচ্ছে তার ওপর। কাল্লাস জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সারের সঙ্গে আলোচনায় ত্রাণের প্রবেশপথ বাড়ানো ও খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন।
বর্তমানে গাজা উপত্যকায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ চরম মানবিক সংকটে রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী হামাস দমনের অজুহাতে সেখানে ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ফলে খাদ্য, ওষুধ ও ন্যূনতম মানবিক সহায়তাও পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ ও গাজায় সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ইইউ সদস্য দেশগুলোর মতবিরোধ এবং রাজনৈতিক দ্বিধা এখন কার্যকর পদক্ষেপে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে গাজার মানুষের দুর্ভোগ কমবে কি না—তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক ঐকমত্য এবং ইসরায়েলের সদিচ্ছার ওপর।
মন্তব্য করুন