ইরান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প থেকে সরে আসবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইরানের দৃঢ় সিদ্ধান্তটি জানান।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দ্য টাইমস অব ইসরায়েল সেই সাক্ষাৎকারের বরাতে জানায়, সাম্প্রতিক ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধে ওয়াশিংটন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ তথ্য আরাঘচি স্বীকার করে নেন। তবে বলেন, তেহরান তার পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে পারে না। ইরান হাল ছেড়ে দেবে না।
তিনি বলেন, সমৃদ্ধকরণ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। কারণ, ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। তবে স্পষ্টতই আমরা সমৃদ্ধকরণ ত্যাগ করতে পারি না। কারণ এটি আমাদের নিজস্ব বিজ্ঞানীদের একটি অর্জন। এখন তার চেয়েও বেশি, এটি জাতীয় গর্বের প্রশ্ন।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হঠাৎ করেই মস্কোয় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলি লারিজানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ক্রেমলিনের বরাতে জানানো হয়েছে, এ বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, লারিজানি ইরানের পারমাণবিক ফাইল ও আঞ্চলিক অগ্রগতির সর্বশেষ আপডেট পুতিনকে জানান। জবাবে পুতিন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার পক্ষে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং পারমাণবিক উত্তেজনা রাজনৈতিকভাবে মেটানোর আহ্বান জানান।
সম্প্রতি কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দাবি করেছিল, পুতিন নাকি তেহরানকে একটি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত চুক্তি গ্রহণে উৎসাহিত করেছেন, যা ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সীমিত করতে চায়। তবে রাশিয়া এ দাবিকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ ছাড়া ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনার নতুন রাউন্ডের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার ইসমাইল ক্বানি ইরাকের মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সম্ভাব্য ইসরায়েলি বিমান হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
সম্প্রতি বাগদাদে ইরানপন্থি মিলিশিয়া নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ক্বানি। এটিকে বিরল ও সরাসরি হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইরাকের অভ্যন্তরে ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কা সম্পর্কে তেহরান উদ্বিগ্ন রয়েছে।
মন্তব্য করুন