তুরস্কের ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্রাট ফারুক ফাতিহ ওজার ও তার দুই ভাইবোনকে কোটি কোটি ডলার হাতিয়ে নেওয়ার দায়ে ১১ হাজার ১৯৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
২০২১ সালে হঠাৎ করে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠান থডেক্স এক্সচেঞ্জ ভেঙে গেলে ফারুক বিনিয়োগকারীদের সম্পদ নিয়ে আলবেনিয়ায় পালিয়ে যান। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর গত জুনে তাকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর অর্থপাচার, প্রতারণা ও সংগঠিত অপরাধের দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।
তবে ফারুক আদালতকে বলেন, তার উদ্দেশ্য যদি অপরাধ করাই হতো তাহলে তিনি এত অপেশাদার আচরণ করতেন না। তুর্কি সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদোলু তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, পৃথিবীর যে কোনো প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যথেষ্ট বুদ্ধিমান তিনি।
ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত এই বিচারে তার বোন সেরাপ ও ভাই গুভেনকেও একই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তুর্কি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তাদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ২৭ জনের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের এত বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারি আইনজীবীরা তাদের ৪০ হাজার ৫৬২ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেছিলেন।
তুরস্কে এ ধরনের সাজা দেওয়া অনেকটা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, ২০০৪ সালে মৃত্যুদণ্ড বিলোপের পর থেকে। গত বছর টিভি ধর্ম প্রচারক আদনান ওকতারকে ৮ হাজার ৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তার ১০ অনুসারীকেও একই পরিমাণ সাজা দেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন