

স্বপ্ন পূরণের আগেই প্রবাসে মারা যাওয়া ফেনীর সোনাগাজীর যুবক মহি উদ্দিন সেন্টুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাদ আছর আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর নুরনবী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেন্টুর মরদেহ এসে পৌঁছায়। মরদেহ গ্রহণ করেন তার ছোট ভাই মাঈন উদ্দিন রিমন। দুপুর ১টায় মরদেহ স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করে গ্রামের বাড়িতে আনা হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
গত ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে কাতারের আল হামাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মহি উদ্দিন আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের মকবুল মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা এবং সাত ভাই-বোনের মধ্যে পঞ্চম। স্থানীয় আমির উদ্দিন মুন্সীর হাট বাজারে ব্যবসা করলেও পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে জীবিকার তাগিদে তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর ফ্রি ভিসায় কাতারে পাড়ি জমান।
প্রায় দুই মাস বেকার থাকার পর তার কাতার স্টেডিয়ামে চাকরি নিশ্চিত হয়। ১ ডিসেম্বর থেকে কাজে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই গত ১৯ নভেম্বর সকালে খাওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা দ্রুত হাসপাতালে নিলেও টানা ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান।
কাজে যোগদানের স্বপ্ন পূরণ হলো না— অসহায় দুই কন্যা, স্ত্রী ও পুরো পরিবারকে শোকে ডুবিয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন মহি উদ্দিন সেন্টু। তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।
ছোট ভাই মাঈন উদ্দিন রিমন বলেন, দেশে প্রিয়জনদের রেখে বিদেশে গিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন