অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের দিকে মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। হামাসের এমন আকস্মিক হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় পাল্টা বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এসব হামলা-পাল্টা হামলায় দুপক্ষের বহু হতাহত হয়েছে। আজকের কয়েক ঘণ্টার ঘটনা পুরো মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে কাজ করবেও বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
শনিবার সকালে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এসব রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামলার প্রথম ২০ মিনিটেই ৫ হাজার রকেট ছোড়ার কথা জানিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনিদের এমন মুহুর্মুহু হামলার পরিপ্রেক্ষেতে দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইসরায়েলের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, হামাসের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের ভেতর অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ৫৪৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৪০ জনের মতো ইসরায়েলি সেনাকে গ্রেপ্তার করেছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।
এ ছাড়া হামাসকে পাল্টা জবাব দিতে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় অন্তত দুটি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে এএফপি। এসব হামলায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহজুব জাওয়েইরি বলেছেন, গত কয়েক ঘণ্টায় যা ঘটেছে তা এ অঞ্চলের রাজনীতিতে গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো (ইসরায়েলি) দখলদার ও সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিস্তিনিরা স্বাধীনতাকামীরা। আমার মনে হয়, নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষা নিয়ে এবার প্রকৃত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কুশীলবদের নিয়ে হামাস যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তা-ও বেশ আকর্ষণীয়।
মন্তব্য করুন