অবরুদ্ধ গাজার নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। তিনি জানান, অবরুদ্ধ উপত্যকাটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে এর শাসকগোষ্ঠী হামাস। দাবি করেন, হামাস যোদ্ধারা গাজার দক্ষিণ অংশে পালাচ্ছেন। যদিও দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ তুলে ধরতে পারেননি ইরসায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
সোমবার ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, ইসরায়েলের সেনাদের ঠেকানোর সামর্থ্য নেই হামাসের। গাজার প্রতিটি স্থানে অবস্থান সংহত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। জানান পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার পাশপাশি অর্পিত দায়িত্বও যথাযথভাবে পালন করছে তারা।
তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এমন দাবি করলেও বাস্তাবতা বলছে ভিন্ন কথা। তথ্য বলছে, গাজায় স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
জানা গেছে গোষ্ঠীটির টানেলগুলো ইসরায়েলিদের জন্য পরিণত হয়েছে রীতিমতো মরণফাঁদে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, অভিযানের মাঝখানে হঠাৎ আক্রমণ চালিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের হত্যা করছে হামাস যোদ্ধারা।
গেল ২৭ অক্টোবর থেকে গাজায় থেমে থেমে স্থল অভিযান শুরু করে তেল আবিব। স্থল অভিযানের পর থেকে ৪৪ সেনাকে হত্যা করেছে হামাস যোদ্ধারা। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা দপ্তর।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজার ভেতরে ৪৪ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। আর ইসরায়েলের সর্বশেষ দুই সেনা নিহত হয়েছেন উত্তর গাজায়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সেদিনই গাজা অবরুদ্ধ করে নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় সম্প্রতি সেনাদের পাঠিয়েছে। এরপর থেকেই ইসরায়েলের সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের ব্যাপক লড়াই চলছে।
এক মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন অর্ধেকের বেশি বাসিন্দা। ইসরায়েলি অবরোধে গাজায় প্রয়োজনীয় ত্রাণও পৌঁছাচ্ছে না।
এর মধ্যে জ্বালানি সংকট ও ইসরায়েলি বাহিনীর ‘খালি করে দেওয়ার’ নির্দেশের কারণে গাজায় একের পর এক হাসপাতাল বন্ধ হচ্ছে। বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন আহত ও গুরুতর জখম হওয়া রোগীরা। এর মধ্যে গাজার সর্বত্র ইসরায়েলের বোমা ও গোলাবর্ষণে শত শত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন