উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের কয়েকটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অর্ধশত মানুষ। স্থানীয় সময় সোমবার রাতে এই হামলা চালানো হয়।
এদিকে, ইসরায়েলের সর্বাত্ম অবরোধে গাজায় দেখা দিয়েছে জ্বালানির তীব্র সংকট। এর জেরে বন্ধ হয়ে গেছে অধিকাংশ হাসপাতাল। চালানো যাচ্ছে না ইনকিউবেটর। ফলে, অপরিণত নবজাতকদের বাঁচাতে ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে, গরম পানির পাশে রাখছেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে, উপত্যকায় ত্রাণকার্যক্রম চালানো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, বুধবারের মধ্যে সেখানে জ্বালানি সরবরাহ করা না গেলে, তাদের কার্যক্রমও বন্ধ করে দিতে হবে। ভয়াবহ এমন মানবিক বিপর্যয়েও গাজায় যুদ্ধবিরতি দিতে নারাজ ইসরায়েল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, জ্বালানি না থাকা, ক্ষয়ক্ষতি, হামলা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ২২টি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এখনো সেখানে ১৪টি হাসপাতাল খোলা আছে। তবে সেগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ও জীবন রক্ষাকারী সার্জারি এবং নিবিড় পরিচর্যাসহ সেবাদানের নগণ্য সরঞ্জাম রয়েছে।
এসব তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, বেসামরিক নাগরিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সুরক্ষা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিশ্চিহ্নের নামে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাড়ে সাত হাজারের বেশি নারী ও শিশু রয়েছে।
মন্তব্য করুন