চলমান অপারেশন আল আকসা ফ্লাডকে কেন্দ্র করে একের পর এক চমক দেখিয়ে যাচ্ছে অবরুদ্ধ গাজার স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনী হিসেবে পরিচিত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে মোকাবিলায় ক্লান্তিহীন প্রতিরোধ আর বিপুল সমরাস্ত্র ধ্বংস যেন ইঙ্গিত দেয় ফিলিস্তিনকে হারানো কঠিনই নয় বরং অবসম্ভব। এর মধ্যেই সবাইকে তাক লাগিয়ে নতুন মাল্টিপল রকেট লঞ্চার উন্মোচন করেছে প্রধান প্রতিরোধ যোদ্ধাদল আল কাসাম ব্রিগেড।
স্থানীয় সময় শুক্রবার নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে মাল্টিপল রকেট লঞ্চার উন্মোচনের একটি ভিডিও প্রকাশ করে প্রধান প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তেল আবিব ধ্বংস হবে এবং জেরুজালেম স্বাধীন হবে শিরোনামে প্রকাশিত সেই ভিডিওতে গাজার উন্মুক্ত এক প্রান্তরে এম-৯০ রকেট ও এটির লঞ্চার দেখানো হয়। একটি টানেল থেকে বেরিয়ে যোদ্ধারা রকেট লঞ্চারগুলো সক্রিয় করছে। উন্মোচন করা এসব লঞ্চারের মাধ্যমে একসঙ্গে ৮টি রকেট ছুঁড়তে দেখা যায় সেই ভিডিওতে। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এ রকেটটি নামকরণ করা হয়েছে হামাসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহিম আল-মাকাদমেহের নামে। ভিডিওতে তার ছবি সংবলিত একটি পোস্টারও দেখা যায়। এম-৯০ রকেটটির পাল্লা ৯০ কিলোমিটার, ফলে গাজার যে কোনো স্থান থেকে তেল আবিবে হামলা করা অনেকটাই সহজ হবে যোদ্ধাদের জন্য। এরআগেও আল মাকদমেহের নামে এম-৭৫ নামে একটি রকেট বানিয়েছিল সংগঠনটি। ২০১২ সালে উদ্ভাবিত এম-৭৫ রকেটটি ২০২১ সালের মে মাসে সিফ আল-কুদস ও চলমান অপারেশন আল আকসা ফ্লাডেও ব্যবহার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রকাশিত এই ভিডিও মূলত তাদের সামরিক মজুত ও উৎপাদন সক্ষমতার জানান দেয়। গেল ৭ অক্টোবর অপারেশন আল আকসা ফ্লাডের প্রথম ২০ মিনিটেই ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে পাঁচ হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এসব রকেটের অধিকাংশই ইসরায়েলের দুর্ভেদ্য বলে পরিচিত আয়রণ ডোম ফাঁকি দিয়ে সফলভাবে আঘাত হানে। বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, হামাসের কাছে অন্তত ১৬ ধরনের বিভিন্ন পাল্লার রকেট রয়েছে। গাজায় ক্ষমতাসীন এ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে রয়েছে শক্তিশালী ইয়াসিন-১০৫ অ্যান্টিট্যাংক মিসাইল। যার মাধ্যমে ইসরায়েলের গর্ব বলে পরিচিত মারকাভা এমকে-৪ এর মতো ট্যাংকও নিমিষেই ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। শুধু রকেট বা অ্যান্টিট্যাংক মিসাইল ছাড়াও প্রতিরোধ দলটির কাছে রয়েছে স্বল্পমাত্রার মুবার-ওয়ান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে ইসরায়েলের ড্রোন ও স্বল্প উচ্চতায় উড়ে যাওয়া আকাশযান ভূপাতিত করার সক্ষমতা অর্জন করেছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
মন্তব্য করুন