এবার ছাত্র উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে কথা বলেছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। শুক্রবার (২৩ মে) ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের লিখেন, গত বছর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের একদিন পর, ৯ আগস্ট সারজিস আলম একটি ইন্টারেস্টিং স্ট্যাটাস লিখেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন ‘নাহিদ এবং আসিফের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ দেশের মানুষের স্বার্থে একধরনের আত্মত্যাগও বটে। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকার ফলে তারা সামনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবেন।’
তিনি লিখেন, সারজিসের স্ট্যাটাসের পেছনে কারণ ছিল—অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সময় সব দল এক ঐকমত্যে পৌঁছেছিল যে, এই সরকারের যারা অংশ নেবেন, তারা রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এই সরকারের মূল ম্যান্ডেট ছিল একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া।
ছাত্র উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি লিখেন, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, সেই অঙ্গীকার ভেঙে নাহিদ উপদেষ্টা (মন্ত্রিত্ব) থেকে পদত্যাগ করে নতুন দল গঠন করলেন। তিনি তো অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবেন। আসিফও নির্বাচন করবেন, এটাও মোটামুটি নিশ্চিত। মাহফুজুর রহমান এনসিপি গঠনের অন্যতম কারিগর, তিনিও নিশ্চই বাদ যাবেন না? আর এসবই কি ‘জুলাই স্পিরিট’-এর পরিপন্থি নয়?
প্রবাসী সাংবাদিক আরও লিখেন, জাতির সঙ্গে করা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ শুধু রাজনৈতিক নয়, নৈতিক বিচ্যুতি—এটি একপ্রকার এই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। যারা ক্ষমতার মোহে নিজ প্রদত্ত মতামত অগ্রাহ্য করে, তারা কি আদৌ জনগণের আস্থার উপযুক্ত? এই প্রবণতা রোধ না করলে ভবিষ্যতে কোনো ঐকমত্যই টিকবে না, গণতন্ত্রের ভিত হবে চূড়ান্তভাবে দুর্বল।
মন্তব্য করুন