ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় হামলার অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। আসন্ন এই হামলা বন্ধের দাবি বিশ্বজুড়ে জোরালো হলেও সব চাপ উপেক্ষা করে এবার রাফায় স্থল অভিযানের অনুমোদন দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। খবর রয়টার্সের।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের নামে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একের পর এক শহরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩১ হাজার ৪৯০ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া সেখানে এই পর্যন্ত আহত হয়েছে ৭৩ হাজার ৪৩৯ জন মানুষ। গাজার প্রায় শহর-নগরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে এখন রাফা শহরের দিকে চোখ পড়েছে দেশটির।
গাজার সর্বদক্ষিণের শহর হলো রাফা। এটি মিসরের সীমান্তবর্তী একটি শহর। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে দক্ষিণে সরতে সরতে সর্বশেষ এখানে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে অর্ধেকের বেশি আশ্রয়গ্রহণ করেছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানোনো হয়েছে, রাফায় আক্রমণ করার পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে ইসরায়েলের বিদেশি মিত্র ও সমালোচকরা ব্যাপক বেসামরিক মানুষের হতাহতের আশঙ্কায় রাফা শহরে হামলা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়ে আসছে। তাদের এই আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েলের দাবি, রাফা হলো হামাসের সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি। তাই সেখানে হামাসকে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে আসছে তেল আবিব।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। নতুন করে যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিতে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে হামাসের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
মন্তব্য করুন