ওশেনিয়া মহাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র ও পর্যটনসমৃদ্ধ দেশ ট্রুভালু। পশ্চিম-মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরে হাওয়াই এবং অস্ট্রেলিয়ার মাঝে দেশটির অবস্থান। একসময়ে পর্যটন নিয়ে অনেক খ্যাতি থাকলেও বর্তমানে দেশটিতে পর্যটকের সংখ্যা অনেক কমেছে। অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে দেশটি।
বিশ্বের অনেক দেশের মানুষের কাছে অজানা ট্রুভালুর নাম। এক সময়ে খ্যাতি থাকলেও পর্যটক কমতে থাকায় আরও অপিরিচিত হয়ে যাচ্ছে দেশটি। যাতায়াত ব্যবস্থা বলতে একটি বিমানই ভরসা—এখন অনেক পর্যটকই আর দেশটিতে যাওয়ার কথা ভাবেন না।
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সাজানো ট্রুভালু। দেশটিতে নীল জলরাশির পাশ ঘিরে গড়ে উঠেছে জনবসতি। এসবের মাঝ দিয়েই চলে সাইকেল-মোটরসাইকেল ও গাড়ি। সৈকতের মাছ ভাজি, রাতের ক্যাম্পফায়ার ও সারি সারি নারিকেল গাছ ট্রুভালুর অন্যতম আকর্ষণ। এ ছাড়া স্বচ্ছ পানিতে দেখা যায় সমুদ্র তীরের তলদেশের বালু।
৯টি প্রবালদ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটিতে মোট ১২ হাজার লোক বাস করেন। এ দ্বীপরাষ্ট্রের আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। সারা বছর দ্বীপের তাপমাত্রা ২৭ থেকে ২৯ ডিগ্রিতে ওঠানামা করে।
দেশটিতে পর্যটনের অন্যতম বাধা হলো বিমানবন্দর। পুরো দেশে ফুনাফুতি নামে একটি মাত্র বিমানবন্দর রয়েছে। ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে আমেরিকার নৌবাহিনী এ বিমানবন্দর তৈরি করে। এ বিমানবন্দরই দ্বীপটির সঙ্গে সারা বিশ্বের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। একসময় অনেক বিমান ওঠানামা করলেও বর্তমানে ফিজি এয়ারওয়েজের একটি মাত্র বিমান চলাচল করে। ফিজির রাজধানী সুভা থেকে ৭২ জন ধারণক্ষমতার এ বিমানটি সপ্তাহে তিনবার চলাচল করে। সম্প্রতি দেশটির সরকার জানিয়েছে, আগামী অক্টোবর থেকে দেশের অভ্যন্তরে বিমান চলাচল শুরু হবে।
পর্যটনের এ দেশের মোট ৯টি দ্বীপের মধ্যে ইতোমধ্যে দুটি দ্বীপ ডুবতে বসেছে। এ ছাড়া সমুদ্রের ঢেউয়ে পাড় ভেঙে ক্রমেই দেশটির আয়তন কমে যাচ্ছে। প্রবালদ্বীপটির বাসযোগ্য অংশটুকু সমুদ্রের পানি থেকে মাত্র দুই মিটার উঁচুতে অবস্থিত। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হারে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতের দেশটির অস্তিত্ব নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।
মন্তব্য করুন