শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে যেভাবে টিকে আছে মানুষ

বিচ্ছিন্ন দ্বীপের প্রতীকী ছবি : সংগৃহীত
বিচ্ছিন্ন দ্বীপের প্রতীকী ছবি : সংগৃহীত

পৃথিবীজুড়ে জলরাশির বুকে ছড়িয়ে আছে রহস্যঘেরা বিভিন্ন দ্বীপ। যার গল্প অনেকের কাছেই অজানা। এমনই এক নীল জলরাশির মাঝে বুক উঁচু করে আছে ছোট্ট এক টুকরো ভূখণ্ড। নাম তার ত্রিস্তান দ্য কুনহা দ্বীপ।

কুনহা দ্বীপের সবচেয়ে নিকটতম দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দ্বীপে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মাছ ধরার নৌকা বা ক্রুজ জাহাজ। দুর্গম অবস্থানের কারণে একে পৃথিবীর বিচ্ছিন্নতম দ্বীপও বলা হয়। ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে দ্বীপটিতে বাস করছেন কিছু ব্রিটিশ নাগরিক।

অনেকের মনেই এ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে যে, সমুদ্রের বুকে পৃথিবীর দূরতম প্রান্তের এই মানুষগুলো কীভাবে টিকে আছে? আটলান্টিকের বুকে এই ছোট্ট দ্বীপে কীভাবেই বা তারা পৌঁছল? জানা যায়, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসমুদ্রের মাঝে ত্রিস্তান দ্য কুনহার অবস্থান। সর্বমোট ৬টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে দ্বীপপুঞ্জটি গঠিত। এর মধ্যে তিনটি আগ্নেয় দ্বীপ।

জানা গেছে, বর্তমানে ত্রিস্তান দ্য কুনহা দ্বীপে আনুমানিক ২৫০ ব্রিটিশ নাগরিক স্থায়ীভাবে দ্বীপে বসবাস করছেন। এদের প্রধান পেশা মূলত কৃষি। প্রধান কৃষিজ পণ্য আলু। এছাড়া এখানকার মানুষরা স্ট্রবেরি ও পিচ ফল চাষ করেন। মাছ ধরা, পশু পালন ইত্যাদি পেশার সঙ্গেও সম্পৃক্ত তারা।

মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও দ্বীপটির বাসিন্দাদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে এখানে। শিশুদের লেখাপড়ার জন্য আছে স্কুল, দ্বীপের বাইরে চিঠি আদান-প্রদানের জন্য আছে পোস্ট অফিস, প্রার্থনার জন্য চার্চ, আছে কমিনিউটি হল, ক্যাফে, হাসপাতাল, এমনকি জাদুঘর। সব মিলে যেন এটি একটি গোটা দেশ হিসেবেই পরিচিত।

শুরুতে সামরিক কাজে ব্যবহৃত হলেও পরে দ্বীপটিতে বেসামরিক লোকজন বসবাস শুরু করে। ত্রিস্তান দ্য কুনহা বর্তমানে ব্রিটিশ ওভারসিস টেরিটরির অংশ। এর যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ ২ কিলোমিটার দূরের সেন্ট হেলেনা দ্বীপ থেকে পরিচালিত হয়।

চারদিক পাহাড় বেষ্টিত দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে সমতল ভূমি। তাতেই গড়ে উঠেছে একমাত্র স্থায়ী মানব বসতি। রানি ভিক্টোরিয়ার পুত্র প্রিন্স আলফ্রেড ১৮৬৭ সালে এই দ্বীপটিতে ভ্রমণে যান। তার সম্মানেই এই দ্বীপের নাম হয় ‘এডিনবার্গ অব সেভেন সিস’।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিদেশি ঋণে রেকর্ড, ১১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

‘শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আমাদের সংগ্রাম চলবে’

দুই দফা দাবি / আন্দোলনস্থান ত্যাগে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

বুয়েট শিক্ষার্থী সনি হত্যা মামলার আসামি টগর গ্রেপ্তার

শ্রীলঙ্কার জয়ে ভর করে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

গাজায় ইসরায়েলের চার সেনা নিহত

রাজধানীর ইন্দিরা রোড থেকে এক আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ইন্দোনেশিয়ায় আন্তঃধর্মীয় সম্মেলন / অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন ও সম্প্রীতিময় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে গুরুত্ব

পেনশন নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বড় সুখবর

অস্ত্র মামলায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

১০

চাকসুতে ১০ পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা

১১

চট্টগ্রামকে ক্লিন সিটি করতে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনার উদ্যোগ চসিকের

১২

রাত নামলেই লুট হচ্ছে কীর্তনখোলা নদীর বেড়িবাঁধের ব্লক

১৩

পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা গিরীধারী লালের পরলোকগমন

১৪

‘বাংলাদেশ-চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে’

১৫

পাল্টে গেল সমীকরণ, এখন যেভাবে সুপার ফোরে যেতে পারে বাংলাদেশ

১৬

নির্বাচনী দায়িত্বে অবহেলা ও অপরাধের সাজা বাড়ছে

১৭

ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতালের অনন্য অর্জন

১৮

বিসিএস পরীক্ষা / সেনানিবাস এলাকায় প্রবেশে বিশেষ নির্দেশনা

১৯

বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি, কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ

২০
X