কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে যেভাবে টিকে আছে মানুষ

বিচ্ছিন্ন দ্বীপের প্রতীকী ছবি : সংগৃহীত
বিচ্ছিন্ন দ্বীপের প্রতীকী ছবি : সংগৃহীত

পৃথিবীজুড়ে জলরাশির বুকে ছড়িয়ে আছে রহস্যঘেরা বিভিন্ন দ্বীপ। যার গল্প অনেকের কাছেই অজানা। এমনই এক নীল জলরাশির মাঝে বুক উঁচু করে আছে ছোট্ট এক টুকরো ভূখণ্ড। নাম তার ত্রিস্তান দ্য কুনহা দ্বীপ।

কুনহা দ্বীপের সবচেয়ে নিকটতম দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দ্বীপে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মাছ ধরার নৌকা বা ক্রুজ জাহাজ। দুর্গম অবস্থানের কারণে একে পৃথিবীর বিচ্ছিন্নতম দ্বীপও বলা হয়। ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে দ্বীপটিতে বাস করছেন কিছু ব্রিটিশ নাগরিক।

অনেকের মনেই এ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে যে, সমুদ্রের বুকে পৃথিবীর দূরতম প্রান্তের এই মানুষগুলো কীভাবে টিকে আছে? আটলান্টিকের বুকে এই ছোট্ট দ্বীপে কীভাবেই বা তারা পৌঁছল? জানা যায়, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসমুদ্রের মাঝে ত্রিস্তান দ্য কুনহার অবস্থান। সর্বমোট ৬টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে দ্বীপপুঞ্জটি গঠিত। এর মধ্যে তিনটি আগ্নেয় দ্বীপ।

জানা গেছে, বর্তমানে ত্রিস্তান দ্য কুনহা দ্বীপে আনুমানিক ২৫০ ব্রিটিশ নাগরিক স্থায়ীভাবে দ্বীপে বসবাস করছেন। এদের প্রধান পেশা মূলত কৃষি। প্রধান কৃষিজ পণ্য আলু। এছাড়া এখানকার মানুষরা স্ট্রবেরি ও পিচ ফল চাষ করেন। মাছ ধরা, পশু পালন ইত্যাদি পেশার সঙ্গেও সম্পৃক্ত তারা।

মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও দ্বীপটির বাসিন্দাদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে এখানে। শিশুদের লেখাপড়ার জন্য আছে স্কুল, দ্বীপের বাইরে চিঠি আদান-প্রদানের জন্য আছে পোস্ট অফিস, প্রার্থনার জন্য চার্চ, আছে কমিনিউটি হল, ক্যাফে, হাসপাতাল, এমনকি জাদুঘর। সব মিলে যেন এটি একটি গোটা দেশ হিসেবেই পরিচিত।

শুরুতে সামরিক কাজে ব্যবহৃত হলেও পরে দ্বীপটিতে বেসামরিক লোকজন বসবাস শুরু করে। ত্রিস্তান দ্য কুনহা বর্তমানে ব্রিটিশ ওভারসিস টেরিটরির অংশ। এর যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ ২ কিলোমিটার দূরের সেন্ট হেলেনা দ্বীপ থেকে পরিচালিত হয়।

চারদিক পাহাড় বেষ্টিত দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে সমতল ভূমি। তাতেই গড়ে উঠেছে একমাত্র স্থায়ী মানব বসতি। রানি ভিক্টোরিয়ার পুত্র প্রিন্স আলফ্রেড ১৮৬৭ সালে এই দ্বীপটিতে ভ্রমণে যান। তার সম্মানেই এই দ্বীপের নাম হয় ‘এডিনবার্গ অব সেভেন সিস’।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফুল হয়ে ফোটে খাদ্য-অর্থের অভাব মেটাচ্ছে শাপলা

এফইজেবি’র নতুন সভাপতি মোস্তফা কামাল, সম্পাদক হাসান হাফিজ

নুরের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য জানালেন চিকিৎসকরা

মন খারাপ হলে আমি একা একা কাঁদি: তানজিকা আমিন

বিএনপি নেতা মিল্টনের নেতৃত্বে সন্দ্বীপে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

নুরের খোঁজ নিলেন আমান উল্লাহ আমান

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে, টালবাহানা চলবে না : বাবলু

সংস্কার না হলে আমাদের পরিণতিও নুরের মতো হবে : হাসনাত

জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামীপন্থি সাংবাদিকদের পুনর্বাসনের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে

২৮ বছর পর মা-বাবাকে ফিরে পেল সন্তান

১০

মানুষের ভোট মানুষকে ফিরিয়ে দিতে চাই : টুকু

১১

মাটি দিয়ে সাদাপাথর আড়ালের চেষ্টা, ৫০ হাজার ঘনফুট উদ্ধার

১২

দুই হাজার ট্রেইনি কনস্টেবল নিয়োগ দিচ্ছে পুলিশ, কোন জেলায় কতজন নেবে

১৩

ছিনতাইকারীর হাতে রক্তাক্ত সাংবাদিক, আটকের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ

১৪

লন্ডনের রাস্তায় ভারতীয় ছাত্রীর কাণ্ড, ভিডিও ভাইরাল

১৫

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পিএমআই বাংলাদেশের আয়োজন

১৬

টানা ২ দফায় স্বর্ণের দাম কত বাড়ল?

১৭

চাকসু নির্বাচন / ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক, পজিটিভ হলেই প্রার্থিতা বাতিল

১৮

এনআইডি সংশোধনের বাতিল হওয়া আবেদন পুনরায় করার সুযোগ

১৯

চায়ের দোকানদারদের মেধাবী সন্তানদের সম্মাননা দিল ‘নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড’

২০
X