ছুটিতে যাওয়ার পরও বস একাধিকবার ফোন করে ‘লাইভ লোকেশন’ চান বলে অভিযোগ করেছেন এক নারী। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তীব্র আলোচনা। অনেকেই বসের আচরণকে ‘টক্সিক’ এবং ‘গোপনীয়তা লঙ্ঘনের নজির’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
দক্ষিণ চীন মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ান ওই নারীকে ছুটি দিলেও সন্দিহান ছিলেন বস। তাই কর্মীর সঠিক অবস্থানের প্রমাণ জানার দাবি করেন তিনি।
ওই নারী জানান, তিনি মালয়েশিয়ার এক দ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই আনন্দ মাটি হয়ে যায়, যখন তার বস ফোন করে জানতে চান কেন তিনি লাইভ লোকেশন পাঠাচ্ছেন না। যদিও তিনি তার অবস্থান বোঝাতে সমুদ্রের ধারে একটি ছবি পাঠান।
তিনি বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। কিন্তু আমার বস বারবার লোকেশন চাচ্ছেন, যেন আমি কোনো অপরাধ করেছি।’
অভিযোগকারী ওই নারী আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে এখন একটি ‘নতুন নিয়ম’ চালু হয়েছে। এর আওতায় কর্মীরা বার্ষিক ছুটিতে থাকলেও, লাইভ লোকেশন না পাঠালে তাদের ‘অনুপস্থিত’ হিসেবেই বিবেচনা করা হবে।
ঘটনার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ লিখেছেন, ‘আপনার বস একেবারে নিয়ন্ত্রণ পাগল।’ আরেকজন বলেন, ‘ছুটি মানেই স্বাধীনতা। বস এমন আচরণ করলে সেটা মানসিক চাপের নামান্তর।’
আরেক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘এটা আসলে কর্মীর ব্যক্তিগত জীবনের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ। আমি হলে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি ছেড়ে দিতাম।’
আরও একজন মন্তব্য করেছেন, ‘যদি বস ছুটির সব খরচ দেন, শুধু তাহলে হয়তো লোকেশন চাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা না হলে এটা পরিষ্কারভাবে গোপনীয়তার লঙ্ঘন।’
বসের পরিচয় প্রকাশ না করলেও, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এ ধরনের নিয়ম আদৌ কি আইনসংগত? এবং কর্মীদের ছুটির অধিকার নিয়ে কতটা স্পষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন? সামগ্রিকভাবে, ঘটনাটি কর্মস্থলের গোপনীয়তা, কর্মী-নিয়ন্ত্রকের সম্পর্ক এবং ছুটির মৌলিক ধারণা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
মন্তব্য করুন