পাকিস্তানে সংসদ নির্বাচনের ভোট শেষ হয়ে ২৪ ঘণ্টা পার হয়েছে। এত সময় গেলেও নির্বাচনে কে জয়ী হচ্ছে তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে এবারের ভোটে সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত ৬২টি আসন নিয়ে এককভাবে এগিয়ে রয়েছেন। ফলে পরমাণু শক্তিধর দেশটির পরবর্তী সরকার গঠনের সমীকরণ আরও জটিল হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গঠন করতে পারবে কি না, সে প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাত্ত্বিকভাবে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দলমত নির্বিশেষে সরকার গঠন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তারা অন্য কোনো দলে যোগদান এড়িয়ে সংসদে নিজেদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে পারবেন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন পেলে তারা সরকার গঠন করতে পারবে। এ জন্য তাদের ২৬৬ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৩৪টি আসনে জয়লাভ করতে হবে।
তবে এই বিকল্পটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য তেমন লাভজনক হবে না। তারা সরকার গঠন করলেও সেটা হবে খুব দুর্বল। স্বতন্ত্র নেতাদের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে সরকার চালাতে হবে। যে কোনো সময়ই এই ধরনের সরকারের পতন হতে পারে।
এতকিছুর পরও যদি স্বতন্ত্ররা এককভাবে সরকার গঠন করেই ফেলে তাহলেও তাদের আরেকটি বড় লোকসান হবে। তারা সংরক্ষিত আসনের কোটা অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
পাকিস্তানে সংসদের ২৬৬টি আসনে সরাসারি নির্বাচন হয়। এসব আসন থেকে সংসদ সদস্যরা ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়। এরপর অতিরিক্ত ৬০টি আসন নারী এবং ১০টি আসন সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। যেসব দল সরকার গঠন করে তাদের সরাসরি আসনের অনুপাতে এগুলো ভাগ করে দেওয়া হয়।
পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের সামনে আরেকটি বিকল্প রয়েছে। সেটা হলো তাদের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গঠন করে সরকারে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
মন্তব্য করুন