পাকিস্তানে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার প্রায় দুদিন পর সব আসনের ফল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি। তবে নির্বাচনের শুরু থেকেই বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও এবার দেশজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স ব্যবহারকারীরা বিভ্রাটে পড়েছেন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইন্টারনেট ওয়াচডগ ও ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, দেশজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারীরা বিভ্রাটে পড়েছেন।
গ্লোবাল ইন্টারনেট ওয়াচডগ নেটব্লক জানিয়েছে, নির্বাচন নিয়ে বিতর্কে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্লাকআউটের ঘটনা ঘটেছে।
️ Confirmed: Live metrics show a nation-scale disruption to X/Twitter across #Pakistan; the incident comes amid political turmoil after a controversial election held under an internet and mobile network blackout pic.twitter.com/1sZpkbWN6L
— NetBlocks (@netblocks) February 10, 2024এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে এ দিন দেশজুড়ে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবণতির কারণে দেশজুড়ে মোবাইল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে; যা দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাকে বিঘ্ন করছে। এ জন্য নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব মতে, এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭ হাজার ৮১৬ জন প্রতিনিধি। এদের মধ্যে ১৬ হাজার ৯৩০ জন পুরুষ, নারী ৮৮২ এবং চারজন ট্রান্সজেন্ডার। প্রায় ২৫ কোটি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তানে এবার ১২ কোটি ৮০ লাখের মতো ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বিপুলসংখ্যক জনগণের ভোটগ্রহণে পাকিস্তানজুড়ে ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোটকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ২৭ হাজারের বেশি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রায় সাড়ে ১৮ হাজারকে অতিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন