কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইকুয়েডরে মাদক ব্যবসার গ্যাং যুদ্ধ, নিহত ২২

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের দেশ ইকুয়েডরের গোলযোগপূর্ণ বন্দর নগরী গুয়াকুইলে দুটি মাদক পাচারকারী চক্রের দুই বিরোধী পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশ কিছু মাদক কারবারি সদস্য রয়েছেন।

শুক্রবার (৭ মার্চ) ইকুয়েডরের স্থানীয় পুলিশ প্রধান হার্বি গুয়ামানি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর এএফপি।

গুয়াকুইল শহরের একটি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) লস টাইগারোনেস নামক একটি শক্তিশালী মাদক পাচারকারী দলের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এই ঘটনায় পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষও হামলা চালায়।

গুয়াকুইল, কলম্বিয়া ও পেরুর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত এবং ইকুয়েডর, যা বিশ্বের শীর্ষ কোকেন উৎপাদনকারী দেশগুলির একটি, সেখানে ২০টিরও বেশি অপরাধী দল মাদক পাচার, অপহরণ এবং চাঁদাবাজির সাথে জড়িত।

ইকুয়েডরের ১ কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে মাদক কারবারি গ্যাংয়ের সহিংসতা দিন দিন বেড়েই চলছে। ২০১৮ সালে প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে ছয়টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, কিন্তু ২০২৩ সালে এই সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে ৪৭-এ পৌঁছে। এই সহিংসতার মধ্যে দেশের গুয়ায়াস প্রদেশের রাজধানী গুয়াকুইল একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।

গুয়াকুইল, যা এখন আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে কোকেন পাচারের অন্যতম প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই কারণে আন্তর্জাতিক মাদক কার্টেলগুলোর বিস্তার ঘটেছে এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ সহিংসতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইকুয়েডরের সরকার এই গ্যাংদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চাচ্ছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদক ব্যবসায়ী গ্যাংগুলো দেশটিতে ক্রমাগতভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। গুয়াকুইলসহ ইকুয়েডরের সাতটি প্রদেশে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই চলছে এবং দুই মাস ধরে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে।

এছাড়াও, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া গত মাসে ঘোষণা করেছেন যে, সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তিনি মিত্র দেশগুলোকে বিশেষ বাহিনী পাঠানোর আহ্বান জানাবেন। এদিকে, চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল ইকুয়েডরে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে প্রেসিডেন্ট নোবোয়া ও বামপন্থি প্রার্থী লুইসা গঞ্জালেসের মধ্যে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

এ পরিস্থিতিতে ইকুয়েডরের নাগরিকরা আরও বড় ধরনের সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতার শিকার হচ্ছেন। আগামীতে দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন হবে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাঠ্যবইয়ে শেখ হাসিনার নাম হবে গণহত্যাকারী : আসিফ মাহমুদ

নির্বাচনে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে নানা চেষ্টা চলছে : তারেক রহমান

নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পাঁচ বাংলাদেশি ফুটবলার

অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

রিজার্ভ বেড়ে ৩০.৮৫ বিলিয়ন ডলারে

জাকসু নির্বাচন, ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নিয়ে আসছে ছাত্রশিবির

ঢাকঢোল পিটিয়ে বেদখলে থাকা জমি উদ্ধার 

‘আর একটা পাথর সরানো হলে জীবন ঝালাপালা করে দেব’

আমাদের দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না : জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি

মানুষ ভাত পাচ্ছে না আর উপদেষ্টারা হাঁসের মাংস খুঁজতে বের হচ্ছেন : আলাল

১০

বিচারককে ‘ঘুষ’, বারে আইনজীবীর সদস্যপদ স্থগিত

১১

ট্রাক প্রতীক নিয়ে নিজ এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন আবু হানিফ 

১২

শিক্ষককে ছুরি মারা সেই ছাত্রী এখন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে

১৩

নথি সরিয়ে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি, কর্মকর্তা বরখাস্ত

১৪

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রাসঙ্গিকতা

১৫

আগামী সরকারে থাকবেন কিনা জানালেন ড. ইউনূস

১৬

বাঁশের পাতার নিচে মিলল ৩৭ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর

১৭

একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে : মির্জা ফখরুল

১৮

‘সবার উপরে ভাত’ নাটকের কোটি ভিউজ উদযাপন

১৯

‘এক পায়ে পাড়া দিয়ে, আরেক পা টেনে ছিঁড়ে ফেলবো’

২০
X