লন্ডনে সহিংস বিক্ষোভের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, দেশের পতাকা কখনোই সহিংসতা, ভীতি বা বিভেদের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, এই পতাকা বৈচিত্র্যময় ব্রিটেনের প্রতীক, যেখানে কাউকে তার ত্বকের রং বা কোনো পটভূমির কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় লন্ডনে টমি রবিনসনের নেতৃত্বে আয়োজিত ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ মিছিলে প্রায় দেড় লাখ মানুষ অংশ নেয়। এর বিপরীতে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’-এর ব্যানারে পাল্টা বিক্ষোভে যোগ দেয়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত ২৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, যার মধ্যে চারজন গুরুতর। এ ঘটনায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্টারমার রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার ব্রিটিশ মূল্যবোধের অংশ হলেও পুলিশের ওপর হামলা কিংবা নাগরিকদের ভয় দেখানো কখনোই সহ্য করা হবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ব্রিটেন সহনশীলতা, বৈচিত্র্য ও সম্মানের দেশ। আমাদের পতাকা সেই বৈচিত্র্যের প্রতীক। আমরা এটি কখনোই সহিংসতা বা বিভেদের হাতিয়ার হতে দেব না।
বিক্ষোভ চলাকালে লন্ডনের সড়কগুলো ইউনিয়ন জ্যাক, সেন্ট জর্জ, এমনকি কিছু স্কটিশ ও ওয়েলস পতাকায় ছেয়ে যায়। দুপুর পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বিকেলের দিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, বিক্ষোভকারীদের দুই গ্রুপকে আলাদা করতে গিয়ে কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঘোড়সওয়ার পুলিশ ব্যাটন ব্যবহার করে।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১৯-৫৮ বছর বয়সী নারী-পুরুষ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরও গ্রেপ্তার করবে বলে জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন