শিশুরা ঠিকভাবে নিজেদের শারীরিক সমস্যা বোঝাতে পারে না। তাই বাবা-মাকে সচেতন থাকতে হয়, বিশেষ করে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে। এখনকার দিনে অনেক শিশুই কিডনির নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছে। তবে ভালো খবর হলো—সময়মতো লক্ষণগুলো চিনে নিলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।
যে লক্ষণগুলো দেখলে আপনার শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া জরুরি
- মুখ বা শরীর ফুলে যাওয়া
- প্রস্রাব একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়া বা খুব কম হওয়া
- ৫ বছর বয়স পেরিয়েও বিছানা ভেজানো (নাইট টাইম এনিউরেসিস)
আরও পড়ুন : ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস কারা খাবেন, কারা খাবেন না
আরও পড়ুন : বয়স ৩০ পেরোলেই নারীদের যেসব টেস্ট করানো দরকার
- অতিরিক্ত পানি খাওয়া এবং ঘন ঘন প্রস্রাব
- খাবারে অনীহা, বমি বা বমি বমি ভাব
- শরীরের স্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি না পাওয়া
- শিশু ফ্যাকাসে বা দুর্বল দেখানো
- বারবার প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়া
জন্মগত সমস্যা: জন্ম থেকেই কিডনির গঠন ঠিক না থাকা বা অনুপস্থিতি
অন্যান্য রোগ: যেমন এসএলই, গ্যাস্টেশনাল ডায়াবেটিস ইত্যাদি
ইনফেকশন: গলা ব্যথা বা চুলকানির পর কিডনিতে প্রদাহ (গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস)
বংশগত রোগ: যেমন পলিসিস্টিক কিডনি, অ্যালপোর্ট সিনড্রোম
নেফ্রোটিক সিনড্রোম: এটি শিশুদের মাঝে বেশ সাধারণ, তবে সঠিক চিকিৎসায় ৮৫-৯০% ক্ষেত্রে ভালো হয়ে যায়
ডিহাইড্রেশন বা রক্তক্ষরণ: আগুনে পোড়া, ডায়রিয়া বা বড় অপারেশনের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চেকআপ: মায়ের গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
শিশুর জন্মের পর নজরদারি: প্রস্রাবের সমস্যা বা অন্য অস্বাভাবিকতা দেখলে দেরি না করে চিকিৎসা
সঠিক সময়ে চিকিৎসা: গলা ব্যথা, জ্বর বা চর্মরোগ হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করানো
ওরস্যালাইন দিন ঠিকভাবে: ডায়রিয়া বা জ্বরে পানিশূন্যতা হলে সঠিকভাবে ওরস্যালাইন দিন
ওষুধের মাত্রা মেনে চলা: নিজে থেকে ডোজ কমানো বা বাড়ানো যাবে না
আরও পড়ুন : রোজ শ্যাম্পু করছেন? চুলের জন্য ভালো না ক্ষতিকর জেনে নিন
আরও পড়ুন : ভিটামিন সির অভাবে শরীরে দেখা দেবে যে তিন সমস্যা
রক্তচাপ মাপা: ৩ বছরের বেশি বয়সী অসুস্থ শিশুদের রক্তচাপ পরিমাপ করলে অনেক রোগ আগেই ধরা পড়ে
শিশুকে হাইড্রেটেড রাখা: অপারেশন বা স্ক্যানের সময় শিশুর শরীরে যথেষ্ট পানি আছে কি না নিশ্চিত করতে হবে
মনে রাখবেন, কিডনি রোগ শিশুদের ক্ষেত্রেও মারাত্মক হতে পারে। তাই সময়মতো লক্ষণ চেনা ও চিকিৎসা নেওয়াই সবচেয়ে কার্যকর প্রতিকার। সচেতন অভিভাবকত্বই পারে শিশুর সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে।
একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ডা. সৈয়দ সাইমুল হক, শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ, ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল।
মন্তব্য করুন