পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোস্লাফ সিকোর্সকি বলেছেন, রাশিয়ার সাম্প্রতিক ড্রোন অনুপ্রবেশ মূলত ন্যাটোর প্রতিক্রিয়া যাচাই করার একটি পরীক্ষা ছিল। তার মতে, মস্কো ইচ্ছাকৃতভাবে বিস্ফোরকবিহীন ড্রোন পাঠিয়ে উসকানি দিয়েছে, যাতে যুদ্ধ শুরু না করেও পশ্চিমাদের প্রতিক্রিয়া বোঝা যায়। খবর গার্ডিয়ানের।
গত সপ্তাহে প্রায় ১৯টি ড্রোন পোল্যান্ডের ভেতরে ঢোকে, যার মধ্যে মাত্র তিন-চারটি ভূপাতিত হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, সামান্য সম্পত্তি ক্ষতি হয়েছে। সিকোর্সকি বলেন, এটি ইউক্রেনের সংজ্ঞায় শতভাগ সফল প্রতিরক্ষা হিসেবেই ধরা হতো।
এদিকে, রোমানিয়াও তাদের আকাশসীমায় রুশ ড্রোন অনুপ্রবেশের অভিযোগ করেছে। দেশটি মস্কোর রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান কায়া কাল্লাসও ঘটনাটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
ন্যাটো ইতোমধ্যে পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে। পোল্যান্ডের লুবলিন শহরের বিমানবন্দরও সতর্কতার কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়।
পোল্যান্ড জানিয়েছে, ভবিষ্যৎ হামলা ঠেকাতে তাদের অ্যান্টি-ড্রোন টিম ইউক্রেনীয় বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেবে। সিকোর্সকি বলেন, ইউক্রেনীয়দের অভিজ্ঞতা এখন পশ্চিমাদের শেখার বিষয়।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, যদি এ ধরনের আক্রমণে হতাহতের ঘটনা ঘটত, তবে পোল্যান্ডের প্রতিক্রিয়া অনেক কঠোর হতো। তার মতে, পুতিনের মতো আগ্রাসী ও মিথ্যাবাদীর সঙ্গে কেবল কঠোর পাল্টা চাপই কার্যকর।
মন্তব্য করুন