যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর। হাতে আছে মাত্র তিন মাস। দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে তাই ছুটছিলেন ৭৮ বছর বয়সী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প, অপরদিকে ৮১ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু এর মধ্যেই ঘটে গেল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত পেনসিলভেনিয়ায় ঘটে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলির ঘটনা। যেখানে ভাগ্যের জোরে অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে যান তিনি। বাটলার এলাকা মঞ্চে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প যখন বলিষ্ঠ কণ্ঠে সমর্থকদের মনে আশা জাগাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই একটি গুলি তার গালের পাশ দিয়ে কান ফুটো করে বেরিয়ে যায়। সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানেই বসে পড়েন ট্রাম্প। এরপর মুহুর্মুহু গুলির শব্দ।
সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের দ্রুত তৎপরতায় ব্যর্থ হয় ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা। স্টেজ থেকে ২০০ মিটারেরও কাছের একটি স্থাপনার ছাদে গুলি করে হত্যা করা হয় বন্দুকধারীকে। তার নাম, পরিচয় ও মোটিভ জানতে তদন্তে নেমে পড়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এফবিআই জানায়, ট্রাম্পের স্টেজের খুব কাছাকাছি বন্দুক নিয়ে ওৎ পেতে থাকা ওই যুবকের নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। বয়স মাত্র ২০ বছর। ট্রাম্পের সভাস্থল থেকে তার বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। পেনসিলভেনিয়ার বেথেল পার্কে তার বাস।
তবে ব্যক্তিগত তথ্য ঘাঁটাঘাটি করে যা পাওয়া গেছে তা অবাক করার মতো। তা হলো বন্দুকধারী ম্যাথিউ ক্রুকস ট্রাম্পের দলেরই সমর্থক। রিপাবলিকান ভোটার হিসেবেই নিজের নাম নিবন্ধন করেছিলেন তিনি।
যদিও ২০২১ সালে ডেমোক্র্যাট সমর্থিত একটি গ্রুপকে ম্যাথিউ ক্রুকস দান করেছিলেন সামান্য কিছু অর্থ। গোয়েন্দারা এখন খতিয়ে দেখছেন, সাবেক প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টায় ম্যাথিউ ক্রুকস একা ছিলেন, নাকি পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছেন অন্য আর কেউ।
এদিকে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরেছেন নিউজার্সিতে নিজের বাসভবনে। আপাতত কানের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া যমদূতের হাত থেকে কীভাবে রেহাই পেলেন, সামান্য কয়েক সেন্টিমিটারের ব্যবধানে, আর গুলিটা অব্যর্থ হলে কী হতো, এতক্ষণে তিনি কোথায় থাকতেন, সেই ট্রমাতেই হয়তো কয়েক রাত নির্ঘুম কাটবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
মন্তব্য করুন