সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২১ সালের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করার সময় তার সঙ্গে থাকা গোপনীয় রাষ্ট্রীয় নথিগুলোর ভুল ব্যবস্থাপনার ঘটনায় ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে ফ্লোরিডায় পৌঁছেছেন তিনি। ট্রাম্পের সমর্থক রিপাবলিকানদের একটি বিশাল অংশ মনে করে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট মায়ামির একটি ফেডারেল আদালতে উপস্থিত হবেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পারমাণবিক গোপনীয়তাসহ বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি সংরক্ষণের কয়েক ডজন অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে ন্যায়বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ।
ট্রাম্প ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। এর জন্য প্রচারণাও চালাচ্ছেন তিনি।
ট্রাম্পের আদালতে যাওয়ার খবরে তার মালিকানাধীন একটি গলফ ক্লাবের বাইরে জড়ো হয়েছেন সমর্থকরা। বিক্ষোভ ঠেকাতে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ফ্লোরিডার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলে ফৌজদারি অভিযোগে আদালতের রায়ে কারাদণ্ড হতে পারে তার।
তবে রায় যা-ই হোক না কেন, দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে আসন গ্রহণ করতে প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকায় এই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার অপরাধের মামলা দায়ের করেছে।
এর আগে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায়ও ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
মন্তব্য করুন