যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে ভয়াবহ দাবানল বেড়েই চলছে। দ্বীপটিতে এখন পর্যন্ত দাবানলের আগুনে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। মাউই রাজ্যের লাহায়নিয়া শহরের ৮০ ভাগ এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এতে অন্তত ২৭০টি স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
হাওয়াইয়ের গভর্নর জোস গ্রিন জানান, এটা আশ্চর্য বিষয়। মুহূর্তের মধ্যেই সব শেষ হয়ে গেল। দাবানলের কারণে এক হাজারের বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন : গ্রিসে একের পর এক দাবানল, বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝোড়ো বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে শত শত বাড়িঘর এবং এলাকা পুড়ে নিঃশেষ হয়ে গেছে। দাবানলের কারণে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, রাজ্যজুড়ে ব্যাপকহারে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে। এ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর থেকে পানি ছিটানো হচ্ছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে হারিকেন ঝড়ের প্রভাবে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দ্বীপটির ঐতিহাসিক লাহায়নিয়া শহর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
হাওয়াই রাজ্যের সিনেটর ব্রিয়ান স্কার্টজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, দাবানলে লাহায়নিয়ার প্রায় সব পুড়ে নিঃশেষ হয়ে গেছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আগুনের তীব্রতা থেকে বাঁচতে অনেকেই সাগরে লাফ দিয়েছেন। আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, তারা বেশ অন্তত ১৭ জনকে পানি থেকে উদ্ধার করেছে।
মাউই রাজ্যের মেয়র রিচার্ড বিসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দাবানলে অনেক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
চুশি লোভিট নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দাবানলে বন্দরে থাকা সব নৌকা পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে সিনেমার মতো সব নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এটা যুদ্ধ সিনেমা।
হাওয়াইয়ে দাবানল তাদের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ বিপর্যয়। দ্বীপটিতে এর আগে ১৯৬০ সালে এমন বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। ওই সময়ে সুনামিতে দ্বীপের ৬১ জন মানুষ মারা যায়।
মন্তব্য করুন