কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৬ পিএম
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টাকার প্রশ্নে ইলন মাস্ককেও ছাড়লেন না ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্ক। ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্ক। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের সরব হলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে। এবার তিনি মার্কিন সরকারের সরকারি দক্ষতা বিভাগকে (DOGE) আহ্বান জানালেন মাস্কের কোম্পানিগুলোর প্রাপ্ত ভর্তুকি খতিয়ে দেখতে। ট্রাম্পের দাবি, এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘ইলন সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি পাওয়া ব্যক্তি। যদি এই ভর্তুকি তিনি না পেতেন, তাহলে সম্ভবত এতদিনে তাকে ব্যবসা গুটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হতো।”

ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘আর কোনো রকেট উৎক্ষেপণ, উপগ্রহ, অথবা বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন নয়। আমেরিকা কোটি কোটি ডলার বাঁচাতে পারত। হয়তো ডজ (যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যয় কমানো এবং কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত দপ্তর) এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে! অনেক টাকা বাঁচাতে হবে!!!’

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পরপরই মাস্ক নিজের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম X-এ পাল্টা জবাব দেন। তিনি লেখেন, ‘আমি তো নিজেই বলছি সব ভর্তুকি বন্ধ করুন। এখনই!’

এই মন্তব্যকে ঘিরে আবার শুরু হয়েছে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব, যার প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারেও। প্রি-মার্কেট ট্রেডিংয়ে টেসলার শেয়ার প্রায় ৫% হ্রাস পেয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানো মাস্কের ব্যবসার জন্য নতুন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

উল্লেখ্য, টেসলার স্বচালিত গাড়ির উৎপাদন ছাড়াও মাস্কের স্পেসএক্স কোম্পানির রয়েছে ২২ বিলিয়ন ডলারের সরকারি চুক্তি। এসব চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে।

গত মাসেও উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছিল বিতর্কিত ব্যয় ও কর বিল নিয়ে। সে সময় মাস্ক আইনপ্রণেতাদের হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, যারা বাজেট কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে এখন এই বিল সমর্থন করেছে, তারা আগামী নির্বাচনে পরাজিত হবে। আমি তা নিশ্চিত করব।’

এমনকি মাস্ক নতুন একটি রাজনৈতিক দলেরও আহ্বান জানান, নাম দেন ‘আমেরিকা পার্টি’।

বলা হচ্ছে, এই তীব্র দ্বন্দ্বের মধ্যেই বাস্তবতা হলো, মাস্কই ছিলেন ট্রাম্পের সরকারের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (DOGE) উদ্যোগের প্রধান স্থপতি এবং তিনি ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচন প্রচারে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিলেন।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি এই লড়াই দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে রিপাবলিকান পার্টির ২০২৬ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘরে ঝুলছিল বিচারকের স্ত্রীর লাশ

বুমরাহকে নিয়ে ঝুঁকির মুখে ভারত: খেলালে সব শেষ?

জবি শিক্ষকের নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল রেসপন্স সেন্টারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

পাথর কোয়ারি বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ইসরায়েল’

বিইউবিটিতে বিগ ব্যাং তত্ত্ব নিয়ে সেমিনার

নতুন ভূমিকায় মিরাজ, ব্যাটিং অর্ডারেও আনছেন পরিবর্তন

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুমোদন চক্রান্তের পদধ্বনি : খতমে নবুওয়ত

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় / সাবেক দুই মন্ত্রীর স্বজনসহ ৫ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি

১০

দুই দফা কমে আবার বাড়ল স্বর্ণের দাম

১১

বাড়ি ছাড়লেন মুরাদনগরের সেই নারী

১২

ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন সুস্মিতা রায়

১৩

ঢাবিতে রিকশাচালকের মৃত্যু 

১৪

বাংলাদেশকে কঠিন প্রতিপক্ষ বলে মানছেন আসালাঙ্কা

১৫

জুনে এলো তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

১৬

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে আর নেই : জয়া আহসান

১৭

গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ

১৮

যে খাবারগুলো ইচ্ছেমতো খেলেও বাড়বে না ওজন

১৯

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৯০০ ফুট নিচে নেমেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান

২০
X