সম্পদ অর্জনে আগের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়লেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। তার সম্পদ ৫০০ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। ফোর্বস সাময়িকীর বিলিয়নিয়ার সূচক অনুযায়ী, ইতিহাসে এবারই প্রথম কারও নিট সম্পদ ৫০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল। ধারণা করা হচ্ছে, তার সম্পদ অদূর ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।
বুধবার বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত ফোর্বস সাময়িকীর বিলিয়নিয়ার সূচকে ইলন মাস্কের নিট সম্পদ ছিল ৫০০ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার ১০ কোটি ডলার। টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইওর সম্পদের পরিমাণ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের গণ্ডি অতিক্রম করে। এ সময় বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি ওরাকল সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার কম সম্পদে পিছিয়ে ছিলেন।
তথ্য মতে, বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ঊর্ধ্বগতি, স্পেসএক্সসহ অন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি ইলন মাস্কের সম্পদের সব রেকর্ড ভাঙে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে মাস্কের সম্পদ ২৪.৬ বিলিয়ন ডলার থেকে আকাশচুম্বী হয়ে একাধিক মাইলফলক অর্জন করেছে। ২০২০ সালের শেষের দিকে ১০০ বিলিয়ন ডলার, ২০২১ সালে ২০০ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালে ৪০০ বিলিয়ন ডলার হয়। তখনই বিশ্ব হতবাক হয়ে যায়। আর এই সপ্তাহে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর পর তার উত্থান নিয়ে নতুন জল্পনা চলছে।
প্রসঙ্গত, ইলন মাস্কের সম্পদ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বিশেষ করে নভেম্বর মাসে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর পর থেকে তার সম্পদ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। মাস্কের এই বিশাল সম্পদের বৃদ্ধির অন্যতম কারণ তার প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স এবং টেসলা। ব্লুমবার্গের তথ্যানুসারে, মাস্কের সম্পদে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে স্পেসএক্সের অভ্যন্তরীণ শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে। তার এই বিশাল সম্পদের পরিমাণ অনেক দেশের বার্ষিক মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) থেকেও বেশি।
মাস্কের সাফল্য শুধু একটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন বা ব্যবসায়ের সাফল্য নয়; বরং এটি একটি নতুন অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে, যেখানে এক ব্যক্তি এককভাবে বৃহত্তম এবং ধনী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সম্পদ অর্জন করতে পারে। এ ঘটনার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবক হিসেবে তিনি কেবল ব্যবসায়ী নন; বরং একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শক্তির প্রতীকও।
মন্তব্য করুন