ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনার সময় মানবাধিকারের সমস্যাগুলো উত্থাপন করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের ৭৫ সদস্য। তবে হোয়াইট হাউস বলছে, মোদিকে মানবাধিকার নিয়ে কোনো ধরনের ‘লেকচার’ দেবেন না বাইডেন।
মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা ভারতের যেসব সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিলেন সেগুলোর মধ্যে ছিল—গণতন্ত্র হরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও সংকীর্ণতা, সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণের মতো বিষয়।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেছেন, বাইডেন ভারতের গণতান্ত্রিক বিষয় নিয়ে মার্কিন উদ্বেগের কথা তুলে ধরলেও তিনি এ বিষয়ে মোদিকে কোনো ধরনের ‘লেকচার’ দেবেন না।
সুলিভান আরও বলেন, ‘ভারতের রাজনীতি এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ঘিরে যে প্রশ্ন উঠছে, তার ভবিষ্যৎ ভারতীয়দের মাধ্যমেই নির্ধারিত হতে চলেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা নির্ধারিত হবে না।’
এর আগে চিঠিতে মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষের সদস্যরা বলেন, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, প্রতিরক্ষা সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুই দেশের যে সহযোগিতা চলছে, তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তাদের। তবে তারা মনে করেন, বন্ধুর সঙ্গে কথাবার্তা স্পষ্ট হওয়া উচিত।
সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন এবং নিম্নকক্ষের সদস্য ও ‘কংগ্রেসনাল প্রগ্রেসিভ ককাস’-এর চেয়ারপারসন প্রমীলা জয়পাল প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে এই চিঠি লেখেন। আর এতে স্বাক্ষর করেন উচ্চকক্ষ সিনেটের ১৮ সদস্য ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ৫৭ সদস্য।
স্বাক্ষরকারীরা ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য। তাদের মধ্যে গতবারের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাথমিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স ও এলিজাবেথ ওয়ারেনও রয়েছেন।
জো বাইডেনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে ২০২১ সালে তিন দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন মোদি। তখন বাইডেনের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে মোদির এবারের সফর সর্বোচ্চ কূটনৈতিক পর্যায়ের। এর আগে ভারতীয় কোনো প্রধানমন্ত্রীর এমন আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সফর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালে।
মন্তব্য করুন