হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধের মধ্যেই তেল আবিবে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিমান থেকে নেমে প্রথমেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বুকে জড়িয়ে ধরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে তেল আবিবে অবতরণ করে বাইডেনকে বহনকারী মার্কিন বিমানটি। এরপর বিমান থেকে নেমে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগকে বুকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছে বিনিময় করেন বাইডেন। ইসরায়েলে দুই নেতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স স্টেফানি হ্যালেটের সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সফর শুরু করবেন বাইডেন। এরপর তিনি ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন জরুরি মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারলেও কোনো আরব নেতার সঙ্গে এবার দেখা হচ্ছে না বাইডেনের। গতকাল মঙ্গলবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ভয়াবহ ইসরায়েলি বোমা হামলায় পাঁচ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনায় বাইডেনের জর্ডান সফর বাতিল করেছে আম্মান।
এবারের এই মধ্যপ্রাচ্য সফরে নেতানিয়াহু ছাড়াও জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল বাইডেনের।
যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারলেও মাহমুদ আব্বাস বা অন্যান্য ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার দেখা পাচ্ছেন না বাইডেন। ফলে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে বাইডেনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এ জন্য তিনি দেশে ও বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়েতে পারেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই দেশটির পাশে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের অংশ হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তেল আবিব সফর করেছেন। সফরকালে তিনি ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এবার এই যুদ্ধের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের তেল আবিব সফর ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অনড় অবস্থানের আরেক শক্ত বার্তা। তবে বাইডেনের এই সফর ভালোভাবে না-ও নিতে পারে ইরান ও অন্যান্য আরব দেশগুলো। তারা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে উসকানি হিসেবে দেখতে পারে।
মন্তব্য করুন