ওয়াগনারের ভাড়াটে বাহিনীকে কেন্দ্র করে রাশিয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বেইজিংয়ের। সম্প্রতি রাশিয়ায় ঘটে যাওয়া ওয়াগনারের বিদ্রোহ নিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার এ বিষয়ে সাংবাদিকরা আনুষ্ঠানিক মন্তব্য চাইলে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই বিবৃতি দেয় চীন। সেখানে তারা বলে, এটা রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও নতুন যুগের কৌশলগত সাথী হিসেবে চীনারা রাশিয়ার জাতীয় স্থিতি রক্ষা, উন্নয়ন এবং অগ্রগতির সপক্ষে অবস্থান করে।
রোববার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিভিন্ন বিষয়ে রাশিয়ার সাথে চীনাদের কথা হয়েছে। এর ভেতর ওয়াগনারের বিদ্রোহের বিষয়টিও ছিল। মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম চ্যানেলের এক বিবৃতি অনুযায়ী, রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুদেনকো চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুইন গাংয়ের সাথে চীন সফরে দেখা করেছেন।
রুশ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, জুনের ২৪ তারিখের ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে রাশিয়ার ফেডারেশনের চেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে চীনারা। সেই সাথে তারা রাশিয়ার পূর্ণ সফলতা কামনা করে এবং বিদ্যমান সংহতি বজায় রাখতে চায়।
এর আগে রক্তপাত এড়াতে শনিবার যোদ্ধাদের মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়া স্থগিত করে ওয়াগনার গ্রুপ। এক অডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তিনি জানান, যোদ্ধারা সেনাশিবিরে ফিরে আসছেন।
মস্কো অভিমুখী পথের অর্ধেকের বেশি অতিক্রমও করে তারা। রুশ সেনারা তাদের গতিরোধ করতে চাইলেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। এরই মধ্যে মস্কোমুখী যাত্রা স্থগিতের কথা জানান প্রিগোজিন।
গত শুক্রবার রাশিয়ার সামরিক নেতাদের উৎখাত করার হুমকি দেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। এরপর রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায় ওয়াগনার। ওয়াগনারের বিদ্রোহকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ সংকট বলে মনে করেছিলেন বিশ্লেষকরা। সাড়ে ২৪ বছরের ক্ষমতায় পুতিন এ ধরনের সংকটের মুখোমুখি হননি।
ওয়াগনারপ্রধানের এ বিদ্রোহের পর পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার ঘোষণা দেন তিনি। পুতিন বলেন, ‘যা কিছু ঘটছে, তা বিশ্বাসঘাতকতা। এটি দেশের জনগণের পিঠে ছুরি চালানোর শামিল।’
মন্তব্য করুন