

ব্রিসবেনের গ্যাবার আলো-ছায়ার যুদ্ধে মিচেল স্টার্ক নামটা যেন ইংল্যান্ডের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাট ও বল হাতে অস্ট্রেলিয়ান পেসারের অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি চলে গেছে স্বাগতিকদের হাতে।
সকালের সেশন শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসকে আরও শক্ত ভিত দেয়। ৩৭৮ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা দলটি শেষ পর্যন্ত গড়ে তোলে ৫১১ রানের বিশাল সংগ্রহ। স্টার্কের দৃঢ়চেতা ৭৭ রানের ইনিংস ইংল্যান্ডের ক্লান্ত বোলিং আক্রমণের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। লাবুশেন, ওয়েদারাল্ড ও ক্যারির অর্ধশতকও ইনিংস সাজাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রথম ইনিংসে ১৭৭ রানের লিড পেয়ে আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর হয়ে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। দিনের আলো ম্লান হতেই গোলাপি বল হাতে সর্বনাশ নামাতে থাকেন স্টার্ক, বোলান্ড ও নেসার। একের পর এক উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেটের স্বল্প সময়ের প্রতিরোধ আশা জাগালেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ক্রলি ৪৪ রান করে বিদায় নিলে ধস নামে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপে। পোপ, ব্রুক ও স্মিথ কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি।
আগের ইনিংসে শতরান করা জো রুটের ওপর ভরসা ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু স্টার্কের নিখুঁত ডেলিভারিতে ব্যাটে লেগে বল গ্লাভসে ধরা পড়লে সেই ভরসাটুকুও ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
দিনের শেষ ভাগে বোলান্ড ও নেসারের টাইট লাইন-লেন্থে ইংল্যান্ডের উইকেট পতন অব্যাহত থাকে। একপর্যায়ে ম্যাচে ফেরার লড়াইটা কেবল টিকে থাকার লড়াইয়ে রূপ নেয় সফরকারীদের জন্য।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১৩৪ রান ৬ উইকেটে। এখনো অস্ট্রেলিয়ার পিছনে ৪৩ রানে। অধিনায়ক বেন স্টোকস ক্রিজে থাকলেও ইংল্যান্ডের সামনে কাজটা যে কঠিন, তা বলাই বাহুল্য।
সব মিলিয়ে তিন দিনের খেলায় গ্যাবার এই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃত্ব স্পষ্ট। চতুর্থ দিন খুব বেশি দূরে নয় ইংল্যান্ডের কঠিন পরিণতি—এমনটাই ভাবছে ক্রিকেটবিশ্ব।
মন্তব্য করুন