অবৈধ অভিবাসনের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভোট ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ডেমোক্রেটিক পার্টির অবস্থানকে শক্ত করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জোয়ার ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরিই এসব বাস্তবায়ন করা হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে সংবিধানে একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে তার দল রিপাবলিকানদের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল। এরপর ২০২০ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ধারাটি আলোচনায় ছিল না। তবে বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ধারাটিকে পুনরায় উজ্জীবিত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
অভিবাসনের ব্যাপারে রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক দিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টি বা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল অনেকটা উদার। এ দিক দিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি অনেকটাই কট্টর। এরপরও দেশটির অভ্যান্তরীণ রাজনীতির কারণে বাইডেন প্রশাসন কঠোর হতে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। এরমধ্যে উচ্চকক্ষ সিনেটে রিপাবলিকান সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস রিপাবলিকান পার্টির দখলে রয়েছে। দেশটিতে সিনেটে কোনো বিল অনুমোদনের পর তা আর হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাঠানো হয়।
সম্প্রতি পরিচালনা করা একাধিক জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন তরুণদের ভোটারদের বিশাল অংশই অভিবাসনবিরোধী। চলতি বছরের নভেম্বরে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের। মার্কিন বিশ্লেষকদের মতে, অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে আগামী নিবাচনে বাইডেনেরে জয়ের সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। কারণ তরুণ ভোটেরদের বিশাল অংশ ট্রাম্পের পক্ষে চলে যেতে পারেন।
ব্লুমবার্গ নিজেদের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মেয়র, গভর্নর, অভিবাসনসংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থা ও আইনজীবীরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বিষয়টি নিয়ে প্রতিনিয়ত চাপ প্রয়োগ করছেন।
মন্তব্য করুন