

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়ে ড. ফয়জুল হক বলেছেন, আমি আনন্দিত এবং গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ডা. শফিকুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠি শহরের একটি রেস্টুরেন্টে তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেন জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট বিএম আমিনুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হাই, জেলা শূরা সদস্য মাওলানা আবু বকর মো. সিদ্দিক, পৌর আমির মাওলানা মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলা আমির মাওলানা মনিরুজ্জামান তালুকদার, রাজাপুর উপজেলা আমির মাওলানা কবির হোসাইন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন।
জেলা জামায়াতের আমির অ্যাড. হাফিজুর রহমান জানান, ড. ফয়জুল হক এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়েছেন। জামায়াতের নিয়মানুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তিনি জনপ্রিয় এবং সৎ ও দক্ষ মানুষ। সবদিক বিবেচনা করে ড. ফয়জুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের ৩০০ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। তবে ৮ দলীয় জোটের সঙ্গে সমন্বয়ের কারণে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে।
এ বিষয়ে ড. ফয়জুল হক বলেন, দাঁড়িপাল্লার মনোনয়ন পেয়ে আমি আনন্দিত এবং গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ডা. শফিকুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। এ দেশে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে দেশপ্রেমিক সবাই মিলে সরকার গঠিত হবে। সেই সরকারের পার্ট হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি।
তিনি আরও বলেন, ঝালকাঠি-১ আসনের জনগণ বসে আছেন সত্যের পক্ষে, দেশপ্রেমিক জনতার পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য। এ অঞ্চলের সব দল-মতের মানুষরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবারের ভোট দাঁড়িপাল্লায় হবে। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সাহেবকে যিনি আমাকে কঠিন সময়ে মানসিক শক্ত অর্জনে সর্বদা সাহস দিয়েছেন। ফ্যাসিবাদ পতনের পর তিনি তার দল থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
ড. ফয়জুল হক বলেন, ইসলামী আন্দোলনের আমির চরমোনাই পীর সাহেব, ছারছিনা, কায়েদ সাহেব হুজুর নেছারাবাদসহ সব পীর-মাসায়েক, আলেম-ওলামা, কবি- সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কৃষক, শ্রমিক জনতা সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার বিশ্বাস সবাই মিলে বিপ্লব ঘটাবে যেটা বিগত দিনের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে।
প্রসঙ্গত, ড. ফয়জুল হক ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হজরত কায়েদ সাহেব হুজুরের (রহ.) নাতি। তিনি ১৯৮৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার পশ্চিম চাড়াখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের সবাই শিক্ষক, প্রিন্সিপাল ও ডক্টর হলেও ছোটবেলা থেকেই মানবসেবার ব্রত নিয়ে রাজনীতির পথ বেছে নেন তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে বিএ ও এমএ পাস করেন ফয়জুল হক। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়া থেকে ২০১৯ সালে পিএইচডি ও ২০২৩ সালে পোস্ট-ডক্টোরাল ফেলোশিপ সম্পন্ন করেন।
মন্তব্য করুন