রফিকুল ইসলাম, রংপুর
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ এএম
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রংপুরে কোল্ড স্টোরেজে পর্যাপ্ত আলু, তবু দাম বেশি

মজুদ করা আলু। ছবি : সংগৃহীত
মজুদ করা আলু। ছবি : সংগৃহীত

রংপুরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে আলুর বাজার। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ১০ থেকে ১২ টাকায় বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের। নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং কোল্ড স্টোরেজে তদারকি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।

গতকাল শনিবার সরেজমিন রংপুর সিটি বাজার, কামাল কাচনা বাজার, ধাপ বাজার, মাহিগঞ্জ বাজার ও লালবাগ বাজারে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নীলফামারীসহ এ অঞ্চলে এ অর্থবছরে ১ লাখ ৬০২ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১৬ লাখ ১১ হাজার ৩৫৪ টন। সূত্র জানিয়েছে, রংপুরে ৩৮টি কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। এসব স্টোরেজে ধারণ ক্ষমতা ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩৭ টন। সেই অনুযায়ী এখনো বেশিরভাগ আলুই রয়েছে স্টোরেজে।

পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এ সময়টাতে গৃহস্থ বা আলু উৎপাদনকারীদের ঘরে আলু থাকে না, যা আছে স্টোরে আছে। গত বছর ২৫০ টাকা বস্তাপ্রতি ভাড়া থাকলেও কোনো কারণ ছাড়াই এ বছর নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকা। এ কারণে কোনোভাবেই বাজারে আলুর দাম কমছে না। মূলত বিদ্যুতের দাম বেশির অজুহাতে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে, যা অযৌক্তিক বলছে খোদ পাইকাররা। বলছেন, কোনো কারণেই এক বস্তা আলুর ভাড়া ৩৮০ টাকা হতে পারে না।

রংপুর সিটি বাজারের বিক্রেতা মাহফুজ আলম বলেন, পর্যাপ্ত আলু রয়েছে স্টোরগুলোতে। তারা দাম ছাড়ছে না। স্টোরেই প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ছে ৪৬ টাকা। সেই আলু রিকশায় আনা-নেওয়া খরচসহ ১ টাকা বেশি দরে বিক্রি করলেও ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারে কথা হয় রাশেদুল মওলা রণির সঙ্গে। তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরেজের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে কোনোভাবেই দাম কমবে না। আমরা চাই, আমাদের প্রত্যাশা আলুর দামটা অন্তত কমুক। এভাবে আর চলে না।

বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, এ বছর কৃষকের কাছ থেকেই বেশি দামে আলু বাজারে এসেছে। হিমাগারে রাখা আলুর দামও বেশি পড়ছে। বিদ্যুতের দাম বেশি, পরিবহন মজুরিসহ অন্যান্য খরচ বেড়েছে। গত বছর আলুর যে সংকট হয়েছিল, তা কাটিয়ে ওঠার জন্য বাড়তি যে উৎপাদন দরকার ছিল, সেটি হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪৭তম বিসিএস পেছানোর দাবিতে আবারো রেল অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের

কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের অফিসে আগুন

হাসপাতালের উদ্দেশে খালেদা জিয়া

খামেনিকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্র, অভিযোগ দুই দেশের বিরুদ্ধে

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

টেস্ট জয়ের পরও বাংলাদেশের সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

বঙ্গোপসাগরে ১৩ জেলে নিখোঁজ

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে দিল্লিকে ঢাকার চিঠি

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সুবিধা দিচ্ছে জবি প্রশাসন

চমক রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

১০

পায়ে শিকল বাঁধা বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

১১

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া

১২

পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণীসহ আটক ২

১৩

এক সপ্তাহ রাতে ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখুন

১৪

যে ৮ লক্ষণে বুঝবেন তিনি এখনো আপনাকে ভুলতে পারেননি

১৫

ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন তারেক রহমান

১৬

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, চিকিৎসকসহ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

১৭

সেমিতে হেরে বিশ্বকাপে তৃতীয় বাংলাদেশ

১৮

কোপেনহেগেনে ফুসফুস স্বাস্থ্য সম্মেলনে বাংলাদেশি ২ বিশেষজ্ঞ

১৯

আগুনে পুড়ে ছাই আড়াই হাজার মুরগির বাচ্চা

২০
X